সোমবার ● ২৪ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বিনোদনে জনপ্রিয়তা বেশি
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বিনোদনে জনপ্রিয়তা বেশি
জামান ফিরোজ
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী আর আধিভৌতিক সিনেমার সঙ্গে মার্কিনদের হূদ্যতা দীর্ঘদিনের। এর আতিশয্য আগের তুলনায় বেড়েছে। দূরদর্শনের অনুষ্ঠানমালা কিংবা বাজারে চলতি সিনেমার দিকে নজর দিলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়। ১৯৮০ সাল থেকে হলিউডের শীর্ষ আয়কারী আটটি সিনেমার কাহিনীতেই রয়েছে ইন্দ্রজাল, স্থান-কালের পরিভ্রমণ কিংবা এলিয়েন কর্তৃক মহাধ্বংস। চলমান ‘আয়রনম্যান’ এর উদাহরণ। অর্থনীতিবিদ জেমস ওয়েবারের মতে, আধুনিক বিজ্ঞানের কারণে ধর্মনিরপেক্ষতা, সর্বজনীন বাজার অর্থনীতি ও আনুগত্যহীন আমলাতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার উত্থান ঘটেছে। আমেরিকান সমাজ বিজ্ঞতার সঙ্গে যৌক্তিক ও পদ্ধতিগতভাবে এ বিশ্বকে অনুধাবন করতে পেরেছে। কারণ বাস্তবতা চিহ্নিত করা, শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র কিংবা হিসাব করা যায় দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারের মাধ্যমে। ওয়েবারের দুনিয়ায় রহস্যের কোনো জায়গা নেই। কিন্তু মানুষ সবসময়ই বিস্ময় প্রত্যাশা করে।
তাই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও ভৌতিক বিনোদনের জনপ্রিয়তা বেশি। শিশু ও কিশোর সবসময়ই রহস্য পছন্দ করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রূপকথাও বড়দের জন্য পুনর্নির্মাণ করা হয়। বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুর মধ্যেও অনুমাননির্ভর অজানা বিষয়গুলো প্রবেশ করিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে মিথ হিসেবে যেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, তা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস।