রবিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ
তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের সাফল্য গাঁথা উপস্থাপনের মাধ্যমে এ খাতে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনলোজি (বিডব্লিউআইটি)। অপরদিকে বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ এবং এ বিষয়ক মৌলিক নীতি নির্ধারনীতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
গত ২৯ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) ও বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনলোজি (বিডব্লিউআইটি) আয়োজিত ‘তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত বক্তরা এমন মন্তব্য করেন। দেশের আইসিটি খাতের উভয় ফোরাম কীভাবে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বিআইজেএফ সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশ এগিয়ে গেলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এ বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মেয়েরা যখন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রতিষ্ঠিত নারীদের সম্পর্কে জানতে পারবে তখন তারা নিজ থেকেই এ খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত হবে।
বিডব্লিউআইটি সভাপতি এবং সফটওয়্যার ডেভলপ প্রতিষ্ঠান দোহাটেক চেয়ারম্যান লুনা সামছুদ্দোহা বলেন, মুখে নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার বিপরীত চিত্র দেখা যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইসিটি জার্নালিস্টদের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরী। তারা যদি সফল আইসিটি নারী ব্যাক্তিত্বদের বিষয়টি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে তবে মফস্বলের মেয়েরাও আইসিটি খাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অনুপ্রাণিত হবে। তিনি বলেনে, আমরা যদি বেসিক জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনতে পারি তবে নারী-পুরুষের সমতা আসবে। এ জন্য ঢাকার বাইরেও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার করা হলে সাধরণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
বিআইজেএফ সহ-সভাপতি ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইংরেজি মাসিক টেকওয়ার্ল্ড’র সম্পাদক নাজনিন কবির বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর মাত্র চার শতাংশ মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশার সাাথে জড়িত। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে নারীর অংশগ্রহণ খুবই সামান্য। কিন্তু অনলাইন সাংবাদিকতা, ব্লগিং ইত্যাদি আউটসোর্সিং সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তারা এ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আর এ জন্য এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো দরকার। প্রয়োজন সকলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আইসিটি নিউজ-এর সম্পাদক-খালেদ আহসান, বিডব্লিউআইটি সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগীয় প্রধান ড. সুরাইয়া পারভীন, সধারণ সম্পাদক রেজওয়ানা খান, কোষাধ্যক্ষ ও জিপিআইটি’র হেড অব সেলস রুমেসা হুসেইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।