বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করায় পা ধরে মাফ চাইলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা
সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করায় পা ধরে মাফ চাইলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা
সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পা ধরে মাফ চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ ঘটনার বিচার শেষে তাঁরা মাফ চান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নচূড়া বাসে করে ‘দৈনিক মানবকণ্ঠ’-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক সোহাইল রানা ও ‘আমাদের অর্থনীতি’র প্রতিবেদক নূর সোলাইমান যাত্রাবাড়ী যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মী ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আবদুল্লাহিস সাদেকসহ আট থেকে ১০ জন বাসে বিশৃঙ্খলা করছিলেন। সাংবাদিক সোহাইল ও সোলাইমান তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁদের মারধর করা হয়। পাশেই দাঁড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মনজুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার ১৯ দিন পর আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বিচারে বসেন সাংবাদিক ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিচার শেষে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাঁর সংগঠনের কর্মীরা আহত দুই সাংবাদিক ও ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পা ধরে মাফ চান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের দপ্তরে অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম রেজা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ওই ঘটনার পরদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। তাই বিচারে কয়েক দিন দেরি হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই অভিযুক্ত কর্মীরা বিশৃঙ্খলা করে ছাত্রলীগের বদনাম করছেন। তাই সংগঠনের সব কর্মসূচিতে তাঁদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।