সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » ।। গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহকের ৯শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তার মুখে।। এমডি পলাতক; নিজস্ব ভবন রেখে অন্যত্র অফিস নেয়ার চেষ্ঠা
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » ।। গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহকের ৯শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তার মুখে।। এমডি পলাতক; নিজস্ব ভবন রেখে অন্যত্র অফিস নেয়ার চেষ্ঠা
৫৬৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

।। গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহকের ৯শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তার মুখে।। এমডি পলাতক; নিজস্ব ভবন রেখে অন্যত্র অফিস নেয়ার চেষ্ঠা

 পলাতক মাহফুজুল বারী

১৭ জুন’২০১৩ প্রকাশিত ১ম পর্বের পর—

জানা যায়, ৮ বছরে গোল্ডেন লাইফের ভীত তৈরীকারী এমডি এম. তৌহিদুল আলম ২০১০ সালে মালিকদের টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়ার কারনে চাকুরী থেকে চলে যেতে হয়েছে। পরবর্তীতে মালিকদের অসৎ গ্রুপ আরও বেপরোয়া হয়। নিয়োগ দেয় মুফতি আজিজ কে। মুফতি আজিজ ২০১১ সালে খরচ করে মোট ব্যবসার ১৭০%। ১৬৫ কোটি টাকা ব্যবসা করেও ১ টাকার এফডিআর হয়নি ঐবছর। এই অসৎ গ্রুপ সিএফও, চীপ অডিট এবং কোম্পানী সেক্রেটারী এদের নিয়োগ দিয়ে পূর্নাঙ্গ একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে। এই সিন্ডিকেট চক্র কোম্পানীকে লুটে পুটে খাওয়ার মধ্যে সারা দেশের বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তারা জানতে পারে এবং গ্রাহকসহ তাদের গনধোলাই দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতারিত করে। ঐ সিন্ডিকেট চক্রটি ২০ কোটি টাকা নবায়ন ব্যবসাকে ১মবর্ষ ব্যবসায় রুপান্তর করে তার ১৭০% কষ্টিং দেখিয়ে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ২০১১ সালে। মালিকদের টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ভূয়া বোর্ডমিটিং করা, বিরোধী গ্রুপের কর্মকর্তাদের বহিস্কার করা এসকল কারনে মুসা মিয়া গ্রুপ ২০১১/১২ সালে হাই কোর্টে ৮/১০টি রিট করেছে। এবং সবগুলো রিটেই গ্রাহকের পক্ষে, কোম্পানীর পক্ষে মুসা মিয়া রায় পেয়েছে। কোনঠাসা হয়ে অসৎ গ্রুপ প্রায় ১ বছর চুপচাপ থেকে ০৮ অগাষ্ট ২০১২ সালে এই এমডি এম. মাহফুজুল বারীকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দিয়েই মাহফুজুল বারীকে একক স্বাক্ষরে কোম্পানীর সকল আর্থিক লেনদেন করার ক্ষমতা প্রদান করে অসৎ গ্রুপ। শুরু হয় তার রাজত্ব। গ্রাহকের অনুমোদিত পাওনা ৪০/৫০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে একক স্বাক্ষরে কোটি কোটি টাকা মালিকদের দেয়া শুরু করে মাহফুজুল বারী। বাংলাদেশের কোন ব্যাংক-বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং লিজিং কোম্পানী এমনকি কোন ধরনের কোম্পানীতে একজনের স্বাক্ষরে হিসাব নিকাশ নিয়ন্ত্রনের কোন আইন না থাকলেও আইডিআরএর চেয়ারম্যানের সাথে আত্মীয়তার কারনে মাহফুজুল বারী এই ক্ষমতা পয়েছে বলে মাহফুজুল বারী গর্ব করে দাবী করে। এমনটি বলছিলেন বারীর ব্যক্তিগত সচিব।
বীমা বিশ্লেষকগন এবং গোল্ডেন লাইফের সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পকের কয়েকজনের সাথে আলাপে জানা যায়, কে.এম. রফিকুল আলম এবং অন্যান্য পিআইরা এমডি মাহফুজুল বারীর অবৈধ কাজের বিরোধীতা করলে তাদের প্রত্যেককে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে বরখাস্ত করে। তাকাফুল-০২ প্রকল্প প্রধান মনিরুল হক ভূইয়া বলেন, “আমি মাষ্টারস করেছি ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমার ইন্টারমিডিয়েট সার্টিফিকেট জাল মর্মে আমাকে বরখাস্ত করেছে। আমি মামলা করেছি যার নং সিআর ৪৩৬/১৩। কোর্টে আমি আমার এসএসসি-এইচএসসি-ডিগ্রী এবং মাষ্টারস মূল সার্টিফিকেট দাখিল করেছিলাম। কোট বারীকে সো-কজ করেছে, সে জবাব দেয়নি। সার্টিফিকেট বোর্ড থেকে ভেরিফাই করিয়েছে, আমি আমার পক্ষে রায় পাব। রায় হলেই ক্রিমিনাল মামলা হবে এবং তারপর হবে মানহানী মামলা।”
গৃহকল্যান-০১ প্রকল্প প্রধান শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন “ আমার ডিগ্রী সার্টিফিকেট জাল, এবং তা কুমিল্লা বোর্ড থেকে ভেরিফাই করিয়েছে বলে আমাকে বরখাস্ত করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ ১৬ কোটি মানুষের কাছে আমার আবেদন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি অথচ কুলঙ্কার অশিক্ষিত মাহফুজুল বারী আমার সার্টিফিকেট কুমিল্লা বোর্ড থেকে কিভাবে ভেরিফাই করালো, তার বিচার করার জন্য। আমিও মামলা করেছি যার নং সিআর ৪৪৯/১৩। কোর্ট সো-কজ করেছে বারীকে। আমি আমার পক্ষে রায় পাব ইনশাহ আল্লাহ। বারীর অন্যায় বরখাস্তের বিরুদ্ধে পিআই মোঃ জসিম উদ্দিন, পিআই মোঃ শাহাদাত হোসেন মামলা করেছে যার নং সিআর ৪০২/১৩ ও ৪০১/১৩। সারা দেশে শত শত মামলা হবে বলে বিভাগীয় প্রধানরা জানিয়েছে।”
ঐ সূত্রটি আরও জানায়, ডিএিমডি কে.এম. রফিকুল আলমকে একইভাবে ভূয়া সার্টিফিকেট তার ফাইলে ডুকিয়ে তাকেও বরখাস্ত করেছে। সে মামলা করেছে যার নং সিআর ৩৪৫/১৩। তার মামলায় কোর্ট কর্তৃক সো-কজের জবাব না দিয়ে ২ বার টাইম পিটিশন দিয়েছে। মিথ্যা কারন দেখিয়ে বরখাস্ত করছে এডিশনাল এমডি এ.কে.এম. শলীফুল ইসলামকেসহ ৯ জন প্রকল্প ইনচার্জকে। এযাবৎ মোট ৫৩ জনকে বরখাস্ত করেছে। বরখাস্তকৃত অধিকাংশই বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে কোন সুরাহা না পেয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে এবং তার হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তাদের আবেদন “ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের চাকুরী ফেরৎ চাইনা, আমাদের প্রানপ্রিয় গোল্ডেন লাইফকে ডেসটিনি-২০০০ এর মত হওয়ার আগেই বাঁচান।” জানা গেছে, মাহফুজুল বারীর ভাই ফজলুল বারী, ভাগিনা আমজাদ এবং আত্মীয় মতিনসহ দলীয়লোকদের এই সকল পদে নিয়োগের জন্য মাহফুজুল বারী এই বরখাস্তের স্তুপ করছে।
৮ এপ্রিল’১৩ থেকে মাহফুজুল বারী প্রধান কাযালয়ে অফিস করেনা। ২/ আড়াই মাস অফিস না করে কিভাবে বেতনভাতা নেয়, কোন আইনে চাকুরী থাকে জানতে চাইলে আইডিআরএ বিষয়টি এরিয়ে যান। প্রধান কাযালয়ে আসলে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করা লাগবে মর্মে মাহফুজুল বারী অফিসে আসেনা বলে জানান অধুনা তার থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়া এক কর্মচারী। উক্ত ৪০ কোটি টাকা গ্রাহকের পাওনা গত ৩/৪ মাসের। মালিকদের নির্দেশে চিরস্থায়ীভাবে অবৈধপথে টাকা খাওয়ার জন্য, মালিকদের অসৎ গ্রুপ ১৩ বছরে যে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে খেয়েছে তার হিসাব চিরতরে না দেয়ার জন্য এবং সর্বপরি ৯ শত কোটি টাকা তসরুপ করার জন্য মালিকদের অসৎ গ্রুপ কোম্পানীটি যাতে বন্ধ হয়ে যায় তার সকল পায়তারা করছে। পরিচালক আজিজুর রহমান এর এক পরিচিত জানান, “আজিজ ভাই কোম্পানী চলুক তা চায়না।” গত এক সপ্তাহ ধরে প্রধান কাযালয়ে ধর্না দেয়া শত শত গ্রাহক ও কর্মীরা জানান, “আমাদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে গোল্ডেন লাইফের এমডি ও মালিকরা পালিয়ে যাবে। তারা গোপনে অন্য যায়গায় অফিস নিয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমে তারা বলেছে এরা যেন দেশ থেকে পালাতে না পারে। ডেসটিনি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে- শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একটি চক্রের সহায়তায় দেশ থেকে পালায়ন করার পর পুলিশ তাদের খোজে। সরকারের কাছে আমাদের জোড় দাবী মাহফুজুল বারী সহ অভিযুক্ত মালিকরা যেন সে ভাবে পালাতে নাপারে।”
নিজস্ব ভবন রেখে অন্যত্র অফিস নেয়ার ব্যাপারে আইডিআরএ জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের চেয়ারম্যান অন্যত্র অফিস নেয়ার ব্যাপারে অনুমতি দেয়নি

এদিকে নারী ও যৌন কেলেঙ্কারীতে বাধ্য হয়ে বিয়ে করা ২য় স্ত্রী রেশমা আক্তার কর্তৃক দায়ের করা মামলায় জেল খাটে মাহফুজুল বারী। যার নং এমএম ২৪১/১৩। কুষ্ঠিয়ায় গ্রাহক কর্তৃক দায়ের করা মামলা নং কুষ্টিয়া সিআর ২৩৮/১৩ তে সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানী আইনের একজন উকিল বলেন, কোন সরকারী বা বেসরকারী চাকুরী জীবী কোন মামলায় ওয়ারেন্ট হলে এবং আসামী শুধু ধরা পরলেই বা জেল না হলেও সে সাময়ীকভাবে বরখাস্ত বলে গন্য হবে। এব্যাপারে আইডিআরএ যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান আমাদের  dailyictnews এর ফোন ধরেননি।
অন্দোলনরত গ্রাহক ও কর্মীরা জানান, “একক স্বাক্ষরে কোটি কোটি টাকা চেয়ারম্যান ও মালিকরা খেয়েছে এবং পিছনের সকল কুকীর্তি ধরা পড়বে বলে চেয়ারম্যান ও কয়েকজন মালিক এমডিকে বাঁচাতে চাইছে। চেয়ারম্যানতো বারীর ২য় স্ত্রীর কাবিনের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে, মুচলেকা দিয়ে নিজে কোর্টে গিয়ে কুলঙ্কার মাহফুজুল বারীকে জামিনে এনেছে। তাহলে বুঝেন।” এই মন্তব্যটি করেছে প্রকল্প পিডি শাহাদাত হোসেন।
———–চলবে।

শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গোল্ডেন লাইফের মালিকরা পলাতক, লক্ষ লক্ষ গ্রাহক দিশেহারা (গোল্ডেন লাইফজালিয়াতি পর্ব-১ )



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
দেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইংরেজি শেখার অ্যাপ ‘পারলো’
৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা-২০২৪
২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০