রবিবার ● ১৬ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচতেনতা কর্মসূচি
চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচতেনতা কর্মসূচি
ডিজিটাল বাংলাদেশ, আউটসোর্সিং, কম্পিউটারের নানাবিধ কলাকৌশল, মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা শীর্ষক ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন, ভিডিও ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন, ডিজিটাল শিক্ষাক্রম ও ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তকের ধরন নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করে উপস্থিত সকলকে মাতিয়ে রাখেন সমিতির পরিচালক এবং বিজয় বাংলা কী বোর্ডের আবিষ্কারক জনাব মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে গতকাল ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে চাঁদপুরের কচুয়ার হাসিমপুরস্থ ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচি। সকাল ১০.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী আয়োজনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মো: গোলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম-সচিব এবং যুবক কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মো: রফিকুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জিয়া আহমেদ সুমন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক এবং আয়োজন সমন্বয়কারী জনাব মো: ফয়েজউল্যাহ খান, সমিতির পরিচালক জনাব এ.টি. শফিক উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি এবং উইটসার পরিচালক জনাব এস.এম.ইকবাল, বিসিএস কুমিল্লা শাখার চেয়ারম্যান জনাব নজরুল আমিন মোল্লা, ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জনাব তাপস কুমার দত্ত, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী অফিসার জনাব মীর শরিফুল বাশার, কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জালাল চৌধূরী এবং রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জনাব এ.কে.এম শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কচুয়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মোলাম হোসেন বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এ আয়োজন। এর মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হয়ে দেশকে একটি উন্নত এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করবে বলে আমার বিশ্বাস। তথ্যপ্রযুক্তি আজ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বের সাথে তথা অবাধ তথ্যের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে সক্ষম হবে।
সাবেক যুগ্ম-সচিব জনাব মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আজ এমন এক জায়গায় আমাদের উপনীত করেছে যেখান থেকে আমাদের শুধ্ইু এগিয়ে চলার পথ দেখিয়ে দেয়। আর এই এগিয়ে চলার পথে বিসিএস এবং আইবিপিসির এ ধরণের যৌথ আয়োজন নি:সন্দেহে টনিকের মতো কাজ করবে।
কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো: আইয়ুব আলী পাটওয়ারী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই পুরো দেশকে তথ্যপ্রযুক্তির আবহে নিয়ে আসার কাজ করছে। দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং এর কার্যকর ব্যভহারে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার কর্তৃক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আয়োজন অত্র এলাকার তথ্যপ্রযুক্তিকে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি সম্পর্কে উদ্দীপনা সৃষ্টিতে এবং এর ব্যবহারে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জিয়া আহমেদ সুমন বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এমন একটি আয়োজন এখানে করবে যা শুনে আমি আনন্দিত হয়েছি। আয়োজনটির মাধ্যমে সরকারের ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
আয়োজনের সমন্বয়কারী এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক জনাব মো: ফয়েজউল্যাহ খান বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সচেতনতা কর্মসূচি এখানে আয়োজনের উদ্দেশ্য একটাই যে কম্পিউটার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষা জীবনসহ প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা, কম্পিউটারের কলাকৌল সম্পর্কে জানা। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি চেষ্টা করছে দেশ্যব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার করা যাতে করে আমাদের পুরো দেশটি প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ এবং প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হতে পারে। আমার বিশ্বাস বিসিএস এবং আইবিপিসির এই উদ্দেশ্য সফল হবে এবং উপস্থিত সকলের প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি দেশর সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুরের কচুয়ায় বিসিএস ২৭ তম আয়োজন নিয়ে এসেছে। এমন একটি নান্দনিক পরিবেশে এবং সরব উপস্থিতিতে বিসিএস এমন আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। আমরা মনে করি বিসিএস’র এই উদ্যোগ এখান শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সারাদিনের কর্মসূচিতে কম্পিউটারের সাধারণ নিয়ে আলোচনা করেন সমিতির পরিচালক এবং কর্মসূচির সমন্বয়ক জনাব মো: ফয়েজউল্যাহ খান । জিডিটাল শিক্ষা এবং শিশুদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষার কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা করেন বিজয় জিডিটালের প্রধান নির্বাহী মিস জেসমিন জুঁই। শুধু আলোচনাই নয়, ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং কুইজও। প্রশ্ন দাতা এবং সঠিক উত্তর দাতাদের জন্য ছিলো আর্কষণীয় পুরষ্কার। অনুষ্ঠানে কচুয়ার বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং কলেজ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিসিএস এবং বিজয় ডিজিটালের পক্ষ থেকে কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ও ভিডিও টিউটোরিয়াল উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।