বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » পাভেল হত্যাকাণ্ড: দায় স্বীকার করেছে ৩ আসামি
পাভেল হত্যাকাণ্ড: দায় স্বীকার করেছে ৩ আসামি
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. আরিফুল ইসলাম পাভেলকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ আদালতে স্বীকার করেছেন তিন খুনী জাহাঙ্গীর, ফয়সাল ও ফরহাদ।বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত ৩ খুনী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ও আতাউল হকের কাছে খুন ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন।আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে জাহাঙ্গীর নিহত পাভেলকে টাকা দ্বিগুণ করে দেয়ার প্রলোভন দেখান। প্রলুব্ধ হয়ে পাভেল ব্যাংক ও বাসা থেকে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। তারপর জাহাঙ্গীরের কথামতো ওইদিনই ফয়সালের সঙ্গে ট্রেনে চেপে নরসিংদী যান।
ওইদিন অপর আসামি ফরহাদ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় আদিয়াবাদ কান্দাপাড়া কবরস্থানে লাশ গুমের জন্য একটি গর্ত খুঁড়ে রাখেন।নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে উঠানো হয়। তারপর চেতনানাশক মিশানো ফ্রুটো জুস খাইয়ে পাভেলকে অচেতন করেন ফরহাদ ও ফয়সাল।এরপর খুনীচক্রের ‘গুরু’ জাহাঙ্গীরের নির্দেশে রুমাল দিয়ে পাভেলের নাক-মুখ চেপে ধরেন তারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পাভেল।
সূত্রটি আরও জানায়, ফয়সাল ও ফরহাদ পাভেলকে হত্যা না করে টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ‘গুরু’ জাহাঙ্গীরের নির্দেশ অমান্য করতে পারেন নি। পাভেলকে হত্যা করে লাশ নরসিংদীর আদিয়াবাদ কান্দাপাড়া কবরস্থানে মাটিচাপা দেন তারা। পরে ঘাতকরা নিহতের জামা জুতা পুড়িয়ে ফেলেন।
বুধবার ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীর ও ফয়সালকে এবং নরসিংদী থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে মো. আরিফুল ইসলাম পাভেল (২১), এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হন।এ ঘটনায় পাভেলের মা ছোলেমা আক্তার নিউমার্কেট থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন।