শনিবার ● ৮ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » “দেশের আগামী দিনে সম্ভাবনা মোবাইল ফোনভিত্তিক প্রযুক্তি”
“দেশের আগামী দিনে সম্ভাবনা মোবাইল ফোনভিত্তিক প্রযুক্তি”
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন) অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এক ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান)। বর্তমানে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ২০ মিলিয়ন ডলার আয় করছেন। তবে তাদের সহযোগিতা করলে বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। প্রযুক্তির এ বিকাশে আগামীতে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে মোবাইল ফোনভিত্তিক প্রযুক্তি।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (এমওআইসিটি)-এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও জাইকা (জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা)।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, “দেশের আগামী দিনে সম্ভাবনা মোবাইল ফোনভিত্তিক প্রযুক্তি। এখন দেশের ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। কিন্তু, এখনো দেশে মোবাইলভিত্তিক প্রযুক্তি, অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে উদ্যোগ নেই। বর্তমানে মোবাইল ফোনের এপ্লিকেশনের বড় মার্কেট তৈরি হচ্ছে। এপ্লিকেশন তৈরিসহ মোবাইল ফোনভিত্তিক সেবা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিক্যুলাম থাকা উচিত। শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাব স্থাপন প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “বিশ্বে বাংলার ভাষার মানুষ অনেক হলেও ইন্টারনেট বাংলা কন্টেন্ট খুবই কম। তাই, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উচিত ওয়েবে বাংলা ব্যবহার করা।”
সচিব বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য। ইতোমধ্যে, দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। এ জন্য সিলেটে ১৬৭ একর জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে।” প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্র ভর্তি হলে তাদের কম দামে ঋণের মাধ্যমে হলেও ল্যাপটপ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি আহ্বান করেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, “দেশের ছেলেদের প্রযুক্তিজ্ঞান থাকলে দেশের বাইরে গেলেও তারা ভালো কাজ করতে পারবে।” তিনি বলেন, “পড়ালেখার পাশাপাশি প্রযুক্তিভিত্তিক কাজ করে আয় করাও সম্ভব। আমাদের দেশের প্রযুক্তিবিদ কম থাকলেও, প্রযুক্তিখাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।