শুক্রবার ● ৩১ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের সময় এবং খরচ বাড়ল
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের সময় এবং খরচ বাড়ল
বাংলাদেশের স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের সময় এবং প্রকল্প খরচ দুই বেড়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রকল্পের খরচ অন্তত ২৪৮ কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপনের সময় এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্পের খরচ ৩ হাজার ২৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা হিসাবে পুনঃনির্ধারন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১১ সালে এক একনেক বৈঠকে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। তখন প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল জুন ২০১৫। কিন্তু তৈরী হতে যাওয়া ডিপিপিতে দেখা গেছে এই মেয়াদ জুন ২০১৬ পর্যন্ত রাখা হয়েছে। প্রকল্পের মোট টাকার মধ্যে সরকারের অংশ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০ কোটি ৪৩ লাখ। আগামী তিন বছরে এই টাকা খরচ করবে সরকার। যার পুরোটাই আসবে বিটিআরসি’র কোষাগার থেকে।
বাকি ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা পাওয়ার হিসাব করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিম ব্যাংক থেকে। তবে এই টাকা কখন কিভাবে পাওয়া যাতে তার পুরো হিসাব মেলেনি। এর আগে এ বছরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিম ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠায়। বিটিআরসি এবং মন্ত্রনালয় ঘুরে সেটি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে চলে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার এই কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
এর আগে একই সঙ্গে তিনটি অরবিটাল স্লট পেতে কাজ শুরু করে বিটিআরসি। যদিও নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’-এর কাজ এক রকম আটকেই আছে। এর মধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিকের সঙ্গে অরবিটাল স্লটের জন্যে চুক্তি করে ফেলেছে বিটিআরসি। নন বাইন্ডিং অ্যাগ্রিমেন্টের এই চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে খরচ হয়েছে দুই মিলিয়ন ডলার। তবে তাদেরকে আরো ৩৩ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের প্রথম অরবিটাল স্লট ১০২ ডিগ্রি পূর্বের ওপর যেহেতু অন্তত বিষয়টি আপত্তি পড়েছে সে কারণে স্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ ডিগ্রি পূর্ব ১৫ বছরের জন্যে কিনে নিচ্ছে বিটিআরসি। প্রয়োজনে পরে আরো ১৫ বছরের জন্যে কেনার সুযোগও রাখা হচ্ছে চুক্তিতে।
বাংলাদেশ অপর দুটি অরবিটাল স্লটের জন্যে আবেদন করেছে সে দুটি হল ৬৯ ডিগ্রি পূর্ব এবং ১৩৫ ডিগ্রি পূর্ব। প্রথমটি বাংলাদেশের জন্যে অনেক কাজের হলেও দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে হয়ে যাবে। তারপরেও চেষ্টা করছে বিটিআরসি। এর মধ্যে এই দুটি অরবিটাল স্লটের ওপরেও বেশ কিছু আপত্তি পড়েছে।