শুক্রবার ● ৩১ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইপিও পুরস্কার পেলেন ইউএসবি উদ্ভাবকেরা
ইপিও পুরস্কার পেলেন ইউএসবি উদ্ভাবকেরা
২৮ মে ‘ইউরোপিয়ান ইনভেন্টর অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ বা ইপিও ঘোষণা করেছে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস। ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস বা ইউএসবি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক পুরস্কার পেলেন ইন্টেলের গবেষকেরা। ইন্টেলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক অজয় ভাট ও তাঁর গবেষক দল ১৯৯৬ সালে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। কম্পিউটিং প্রযুক্তিতে ইউএসবি উদ্ভাবনকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন বলে ধরা হয়।
সামাজিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতিতে অবদান রাখায় প্রতি বছর ইপিও পুরস্কার প্রদান করে ইউরোপিয়ান পেটেন্ট অফিস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এবারে ২৮ মে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে।
ইউএসবি প্রযুক্তির জন্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে উদ্ভাবক অজয় ভাটের দলে ছিলেন বালা সুদর্শন কাদম্বি, জেফ মরিস, শন নোল, সেলাহ কালাহান। তাঁরা নন-ইউরোপিয়ান কান্ট্রি বা ইউরোপের বাইরের দেশ বিভাগটির বিজয়ী হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে ইউএসবি প্রযুক্তি বহুল ব্যবহৃত। মোবাইলফোন, ওয়েব ক্যাম, মেমোরি স্টিক থেকে শুরু করে কোটি কোটি ডিভাইসে ইউএসবি প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
৫৬ বছর বয়সী ভাট পেশায় একজন কম্পিউটার আর্কিটেক্ট। ইউএসবি ছাড়াও অ্যাকসেলেরেটেড গ্রাফিকস পোর্ট, পিসিআই এক্সপ্রেস, প্ল্যাটফর্ম পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট আর্কিটেকচার ছাড়াও চিপসেটের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন তিনি। তাঁর নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৩১টি পেটেন্ট রয়েছে। ১৯৯০ সালে তিনি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলে কাজ শুরু করেন। তিনি ভারত ও নিউইয়র্কে লেখাপড়া করেছেন।
২০১৩ সালে মোট পাঁচটি বিভাগে ‘ইউরোপিয়ান ইনভেন্টর অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো ‘পপুলার প্রাইজ’ বিভাগে পেয়েছেন স্পেনের প্রকৌশলী হোসে লুইস লোপেজ গোমেজ। তিনি নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে ট্রেন ভ্রমণের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বা ‘শিল্প’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন অস্ট্রিয়ার উদ্ভাবক ক্লাউস ব্রাসল। তিনি ‘ব্লুমোশন’ নামে একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যাতে স্বচ্ছন্দে ও শব্দহীনভাবে কল-কবজা চালানো সম্ভব।
স্মল ও মিডিয়াম সাইজ এন্টারপ্রেন্যর বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের গবেষক পল নাইরেন। তিনি ডিএনএ সংশ্লেষের বিশেষ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন যাতে কম খরচে ডিএনএ সংশ্লেষ করা সম্ভব।
‘রিসার্চ’ বা গবেষণা বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন ফ্রান্সের প্যাট্রিক কুভরার ও তাঁর গবেষক দল। তাঁরা ন্যানো ক্যাপসুল উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন। এতে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধ শরীরের নির্দিষ্ট কোষে পৌঁছানো সহজ হবে।
ইপিওর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট বা আজীবন সম্মাননা পেলেন সুইজারল্যান্ডের প্রযুক্তিবিদ মার্টিন শাডেট। এলসিডি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তাঁর অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এ সম্মাননা।