বুধবার ● ২৯ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দেশের ২০,৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ হয়েছে
দেশের ২০,৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ হয়েছে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের ২০ হাজার ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মোতাহার হোসেন জানান, ২০১৫ সালের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া তথা ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার।
মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের ফলে আর আগের মতো পাঠদান তথা ব্লাকবোর্ডে লিখতে হবে না। ল্যাপটপ, মডেম ও প্রজেক্টর ব্যবহার করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হবে। এ জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জুনের মধ্যে প্রতি উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহ করা হচ্ছে। এ জন্য ওইসব বিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষককে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মে বিভিন্ন স্কুলে এক হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
মোতাহার হোসেন বলেন, আগামী বছর আরো ১০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর সরবরাহ করা হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের আওতায় আসবে। তবে যে সব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই তাদেরকে সোলার প্যানেল সরবারহ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকার স্কুলগুলোর শ্রেণিকক্ষ মাল্টিমিডিয়ার জন্য ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট মডেম সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের ২০ হাজার ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে।