সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২৭ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » সাইবার যুদ্ধে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » সাইবার যুদ্ধে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া
৬০৭ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ মে ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাইবার যুদ্ধে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া

সাইবার যুদ্ধে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়াসাইবার যুদ্ধ প্রচলিত যুদ্ধের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও কম ব্যয়বহুল হওয়ায় সাইবার হামলার দিকে ঝুঁকে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেট থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটি আলাদা একটি হ্যাকার বাহিনী গঠন করেছে, যারা মেধা ও দক্ষতায় যেকোনো উন্নত দেশের সাইবার বিশেষজ্ঞদের সমকক্ষ। খবর গ্লোবালপোস্টের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হলেও বাস্তবে সেগুলো দিয়ে খুব একটা লাভবান হতে পারছে না সমাজতান্ত্রিক দেশটি। কৌশলগত হলেও এ ধরনের অস্ত্র দিয়ে কিম জং উনের সরকার সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক কোনো ফায়দা আদায় করতে সক্ষম হচ্ছে না। এজন্য গোপনে সাইবার হামলা চালিয়ে পশ্চিমা বিশ্বসহ প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে তারা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি বছর কমপক্ষে একবার করে হলেও সংগঠিত সাইবার হামলা চালাচ্ছে দেশটি। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে এ ধরনের একটি হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় শত্রুদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একাধিক টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র ও ব্যাংকের যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। সিউলের কর্মকর্তারা সেসময় জানান, হামলার কারণে সিউলের একাধিক ব্যাংকের এটিএম ব্যবস্থা কয়েক দিনের জন্য অকার্যকর হয়ে পড়ে। সম্প্রচার থেমে যায় শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি টেলিভিশনের। এমনকি অনলাইন ব্যাংকিং বন্ধ হয়ে যায় সেখানে এবং সিউলের ৩০ হাজার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা সব তথ্য মুছে যায়। কম্পিউটারগুলোও স্থায়ীভাবে অচল হয়ে পড়ে।
এ হামলায় যে ক্ষতিকর সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়, সেটি আক্রান্ত কম্পিউটারগুলোয় মাথার খুলির ছবি দেখাতে থাকে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, হামলাটি চীন থেকে করা হয়েছে। পরে অবশ্য সিউলের কর্মকর্তারা হামলার উত্স হিসেবে পিয়ংইয়ংয়ের (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) শহরতলীর একটি এলাকাকে চিহ্নিত করেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আক্রমণ চালানোর এক মাস আগেই সিউলের তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল ও তিনটি ব্যাংকের কম্পিউটারে সাধারণ অথচ ভয়াবহ একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দেয় উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা। কর্তৃপক্ষের মতে, ম্যালওয়্যারটির নাম ডার্ক সিউল, যার মূল কাজ হার্ড ড্রাইভের তথ্য মুছে ফেলা। গত বছরই এ ধরনের একটি প্রোগ্রাম শনাক্ত করেছিলেন তারা।

কম্পিউটার বিশেষজ্ঞরা জানান, আশির দশক থেকেই এ ধরনের ম্যালওয়্যার ব্যবহার হয়ে আসছে। এগুলোর কোড খুব সাধারণ হলেও এদের কার্যক্রম খুবই ভয়ানক। সিসকোর কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সেথ হ্যানফোর্ড জানান, বিশেষ কোনো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে দিলে এগুলো বিপুল পরিমাণ তথ্য মুছে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
১২ এপ্রিল এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া এ হ্যাকিংয়ের দায় অস্বীকার করে। অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়া তাদের অভিযোগ অব্যাহত রেখেছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার মতো দরিদ্র দেশের পক্ষে সাইবার হামলায় এতখানি দক্ষ হওয়া আসলেই আশ্চর্য হওয়ার মতো ঘটনা। তাদের আশঙ্কা, পিয়ংইয়ংয়ের উদাহরণ অনুসরণ করে যেকোনো দেশই সাইবার হামলায় দক্ষ হয়ে ওঠার কার্যক্রম শুরু করতে পারে। উন্নততর প্রযুক্তি ছাড়াই স্বল্প খরচে সাইবার হামলায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা খুব একটা কঠিন নয় বলে মনে করেন তারা।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে গত ৬০ বছর ধরে কৌশলগতভাবে মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। সত্তর থেকে আশির দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে ছোটখাটো হামলা চালাত পিয়ংইয়ং। এমনকি একবার দক্ষিণ কোরীয় একটি বিমানও ছিনতাই করে তারা। ২০১০ সালের নভেম্বরে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি দক্ষিণের একটি দ্বীপে কয়েকদিন ধরেই গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে পিয়ংইয়ং। একই বছরের মার্চে দক্ষিণ কোরীয় নৌবাহিনীর একটি করভেট ডুবিয়ে দেয় উত্তরের বাহিনী। ওই ঘটনায় ৪৬ জন দক্ষিণ কোরীয় নাবিক নিহত হন।

এ ধরনের ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার ওপরও পাল্টা হামলার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সাইবার যুদ্ধে প্রাণহানির তেমন কোনো আশঙ্কা থাকে না, যা অধিকতর নিরাপদ ও কম ব্যয়বহুল। সিউলভিত্তিক কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যানালিসিসের বিশ্লেষক হিউং উক বু বলেন, সাইবার হামলায় সক্ষমতা অর্জনে খরচ হয় খুবই কম, কিন্তু এর ফলাফল ভয়াবহ। উত্তর কোরীয় গুপ্তচররা সাইবারস্পেসকে কার্যক্রম চালানোর জন্য সুবিধাজনক জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

১৯৯০ সালে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর সাইবার হামলা করে উত্তর। সে সময় ডিনায়াল অব সার্ভিসেস (ডিডিওএস) পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল পিয়ংইয়ং। এ পদ্ধতিতে কোনো একটি ওয়েবসাইটে একই সঙ্গে কোটি কোটি প্রবেশ অনুরোধ পাঠানো হয়। তাতে ওয়েবসাইটটি সাময়িকভাবে অচল হয়ে যায়। বর্তমানে এ ধরনের আক্রমণের বদলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার স্থাপন করছে উত্তরের গোয়েন্দারা। এতে একদিকে যেমন তথ্য চুরি করা সহজ হচ্ছে, তেমনি হামলার ক্ষেত্রও প্রস্তুত থাকছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে সিউলের কম্পিউটার ব্যবস্থায় কমপক্ষে আটবার হামলা চালিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের হ্যাকাররা। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে চালানো হয় বড় ধরনের দুটি আক্রমণ।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ঢাকা কলেজে প্রযুক্তিপন্যের প্রদর্শনী করল স্মার্ট
দারাজের ১.১ নিউইয়ার মেগা সেল ক্যাম্পেইন
পুরানো ল্যাপটপে ৫০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইংরেজি শিক্ষার সহযোগী এআই টুল ‘ইংলিশ মেট’
এআই এর প্রসার বাড়াতে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সে যোগ দিল ক্যাসপারস্কি
বাংলাদেশে শাওমির নতুন টিভি এ প্রো ২০২৫
টুওয়ার্ডস এআই শীর্ষক জেডকেটেকো পার্টনারমিট ২০২৪ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন এক্স২০০
গ্লোবাল ব্র্যান্ডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো লেনোভো ৩৬০ ইভল্ভ ইভেন্ট