বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৩
প্রথম পাতা » পবিত্র রমজান ও ঈদের যত অফার » ৭ জুন থেকে ডিইউআইটিএস-রবি ক্যাম্পাস প্রযুক্তি উৎসব
৭ জুন থেকে ডিইউআইটিএস-রবি ক্যাম্পাস প্রযুক্তি উৎসব
আগামী ৭ জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ‘২য় ডিইউআইটিএস-রবি ক্যাম্পাস প্রযুক্তি উৎসব’। এ উপলক্ষে গত ২১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী ৭ ও ৮ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দু’দিনব্যাপী ‘২য় ডিইউআইটিএস-রবি ক্যাম্পাস প্রযুক্তি উৎসব’। ‘রোল অব আইসিটি টু প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স এগেইনেস্ট উইম্যান’ (নারী সহিংসতারোধে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা) প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজিত এ উৎসবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করছে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাম্পাস গঠনে এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে বছরব্যাপি নানা কার্যক্রম। সে তালিকায় সারা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে জাতীয় ক্যাম্পাস প্রযুক্তি উৎসব অন্যতম। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আইসিটি ভাবনা যেমন আদান-প্রদান হয় তেমনি শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রণিত হয় নতুন আবিস্কারে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মডারেটর ও ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আজম শফিউল আলম ভূঁইয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা ও আইআইটি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, সিএসই বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর ব্রান্ড এন্ড মার্কেট কমিউনিকেশন ম্যানেজার রুমানা জাকিয়া, অফিস এক্সট্রাক্টস এর নির্বাহী পরিচালক বীরেন্দ্রনাথ অধিকারী, ডিইউআইটিএস এর সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ান এবং উৎসবের আহ্বায়ক ইফতেখার আলম।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। আশা করি এই আয়োজন পুরো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তির একটি ভালো ধারণা দিতে পারবে। তারা আরো বলেন, এই রকম আরো আয়োজন করলে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহার দুর করবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎসবের বিভিন্ন পর্বে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রকল্প প্রদর্শন, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট গেমিং কনটেষ্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা, ইন্টারনেট নিরাপত্তা কর্মশালা, উদ্যোক্তা সম্মেলন, তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিতর্ক, বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগসহ নানা আয়োজন। এছাড়াও উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও মিট দ্যা পার্সোনালিটি ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। উৎসবে মোট ২টি সেমিনার, ২টি কর্মশালা ও একটি আলোচনা পর্ব থাকছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর ক্যাম্পাস গড়তে প্রস্তাবনাও রাখা হবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০টি প্রকল্প নিবন্ধন করেছে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্য। এসব প্রকল্প থেকে সেরা তিন প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতা ও গেমিং কনটেস্টেও ঢাকা ও ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহন থাকছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করতে হবে www.duitsbd.org এই ঠিকানা।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এ আয়োজনে পলিসি মেকার ও শিক্ষকদের নিয়েও সেমিনার করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর ক্যাম্পাস গড়তে পলিসি মেকার ও শিক্ষকদের অন্তভূর্ক্ত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।
আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এছাড়াও এ আয়োজনে রেজিস্ট্রেশন পার্টনার হিসেবে থাকছে বিকাশ। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিকাশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সহযোগি পৃষ্ঠপোষক এন্টি ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারেস্কি ল্যাব। বেভারেজ পার্টনার পেপসি এবং টেলিকাস্ট পার্টনার একাত্তর টেলিভিশন। আয়োজনে এক্সাইটিং গেমিংজোনের পৃষ্ঠপোষক বিখ্যাত প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল। এছাড়াও সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করবে অনলাইন জবসাইট বিডিজবস।