সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, জানুয়ারী ৯, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১১
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন স্মরণসভায় বক্তারা- তার স্থান পূরণ হওয়ার নয়
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন স্মরণসভায় বক্তারা- তার স্থান পূরণ হওয়ার নয়
৬৩৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন স্মরণসভায় বক্তারা- তার স্থান পূরণ হওয়ার নয়

অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন স্মরণসভায় বক্তারা- তার স্থান পূরণ হওয়ার নয়
এ বছরের ২১ জুন চিরদিনের জন্য পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের প্রখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী, বিশিষ্ট পাখি গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক কাজী মো. জাকের হোসেন। গত ১৫ অক্টোবর বিকেল ৪টায় ঢাকার পলাশীতে অবস্থিত ফ্রেপড মিলনায়তনে গুণী এই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভায় অধ্যাপক কাজী মো. জাকের হোসেনকে নিয়ে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে ছিলেন নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা, অধ্যাপক নুরজাহান সরকার, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক আকতারুন্নেসা চৌধুরী।
এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক ফরহাদ মাহমুদ, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক এ এম হারুন-অর-রশীদ এবং প্রয়াত অধ্যাপক কাজী মো. জাকের হোসেনের পুত্র কাজী তাহের হোসেন।
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা বলেন, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে আমরা এখন এক সংকটের মধ্যে বসবাস করছি। এ সময় অধ্যাপক কাজী মো. জাকের হোসেনের মতো নিঃস্বার্থ এবং অনুরাগীপ্রকৃতি বিজ্ঞানীর প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব অপরিসীম। অধ্যাপক নুরজাহান সরকার বলেন, তিনি ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষক, নিবেদিতপ্রাণ গবেষক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাখিবিশারদ। তার মৃত্যুতে এদেশের প্রাণিবিদ্যা শিক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পাখি গবেষণার ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে তার গভীর অনুভব এবং অভিজ্ঞতার অভাব পূরণ হওয়ার মতো নয়। তিনি প্রয়াত অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করার বিভিন্ন স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। অধ্যাপক আকতারুন্নেসা চৌধুরী বলেন, এই গুণী মানুষের অনেক কিছুই ছিল অনুকরণীয়। তার শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতিও ছিল ভিন্ন। সব সময়ই তিনি দেশের এবং দশের মঙ্গল চিন্তা করতেন। তার স্থান পূরণ হওয়ার নয়। অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি সৌভাগ্যবান, ছাত্র হিসেবে তার স্নেহ পেয়েছি। আমাদের উচিত তার দেখানো পথ অনুসরণ করা। কিন্তু সে কাজটি যথেষ্ট কঠিন।
অধ্যাপক কাজী মো. জাকের হোসেন ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টের পাটোওয়ার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৬ সালে চাঁদপুর জি এইচ ই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৪৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি, ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং ১৯৫৩ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন জীববিদ্যা বিভাগে (উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ইরড়ষড়মু) লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৮ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি ১৯৯১ সালে চাকরি থেকে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণের পর পুনঃনিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে ৫ বছর এবং সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে ২ বছর প্রাণিবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেনকে প্রফেসর এমিরিটাস পদবিতে ভূষিত করা হয়। অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রদত্ত গ্লোবাল ৫০০ রোল অব অনার এনভায়রনমেন্টাল অ্যাচিভমেন্ট লাভ করেন। তিনি ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত হন এবং ২০১০ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারে ভূষিত হন।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ভিভো এক্স২০০ এর নজর কাড়া পাঁচ দিক
উবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৫ এর অফিসিয়াল মোবিলিটি পার্টনার
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস এর সাথে বিনামূল্যে ওয়্যারলেস চার্জার
রিয়েলমি সি৭৫ এর কার্যক্ষমতা দেখলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
বাজারে এআই সুবিধাযুক্ত স্যামসাংয়ের ‘নিও কিউএলইডি ৮কে’ টিভি
ফুডপ্যান্ডা ও সিপি ফাইভ স্টারের মধ্যে চুক্তি
এআই-ভিত্তিক চ্যাট ইঞ্জিন আনল বাংলালিংক
রিয়াদে ইউএনসিসিডি ‘সিওপি-১৬’ সম্মেলনে প্রিয়শপ
সর্বোচ্চ পারফর্মেন্সের মাইলফলক অর্জন করেছে ক্যাসপারস্কি
সেমিকন্ডাক্টর খাতের বিকাশে টাস্কফোর্স গঠন