রবিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ঢাকায় শোকেস মালয়েশিয়া
ঢাকায় শোকেস মালয়েশিয়া
ঢাকায় তৃতীয় বারের মত শুরু হচ্ছে ‘শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৩’। এর যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)। মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এমএটিট্রেড) ও মালয়েশিয়া সাউথ-সাউথ অ্যাসোসিয়েশন (এমএসএসএ)’র সহযোগিতায় ঢাকার মালয়েশিয়ান হাইকমিশন ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
২৭ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএমসিআিই’র প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৩ এ বহু ব্যবসায়ী, দর্শনার্থী ও পেশাজীবীরা আকৃষ্ট হবেন এবং এর ফলে মালয়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন, বিনিয়োগ, অটোমোবাইলস, নির্মাণ সামগ্রী, পেট্রোলিয়াম, ব্যাকিং ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রের প্রতি বাংলাদেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। আমাদের এ গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের টাইটেল সন্সর রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং গোল্ড স্পন্সর ডানা গ্রুপ, সিলভার স্পন্সর পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এবং যুগ্ম স্পন্সর সিটি ব্যাংক লিমিটেড। তিন দিনের এ প্রদর্শনীতে ১৫ হাজার দর্শনার্থী আসবেন বলে আমার আশা করছি।’
এ প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)’র মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মালয়েশিয়াকে একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক যোগানদাতা হিসাবে তুলে ধরা এবং দেশটির সাথে ভাল ও ব্যাপক ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করা। এছাড়া বিএমসিসিআই বিশ্বাস করে, বর্তমানে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার জন্য একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্র ও ব্যবসায়িক স্থান এবং এ ইস্যুটি আমরা মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে চাই।
পণ্য উৎপাদনকারী, রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা সংস্থা; যেমন- টেলিযোগাযোগ, ব্যাকিং, ইনস্যুরেন্স, তথ্য প্রাযুক্তি, পর্যটন, স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে “শোকেস মালয়েশিয়া”য় অংশগ্রহণ করবে। এ প্রদর্শীর মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সশরীরে মালয়েশিয়ার পণ্য দেখা ও সরাসরি উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারকদের সাথে আলোচনা করার দুর্ভল সুযোগ পাবে। মালয়েশিয়া শুধু আমাদের ভবিষ্যত বাজারই নয়, বরং অনেক কারণে আমাদের কৌশলগত অংশীদার। মালয়েশিয়া আমাদের সবচেয়ে বড় জনশক্তির বাজার যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশী সক্রিয়ভাবে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আয় করছে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার এইচ.ই. নরলিন বিন্টি ওথম্যান, পূর্ববর্তী সাবেক বিএসসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রদর্শনীর টাইটেল স্পন্সর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্র্তা মতিউল ইসলাম নওশাদও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট ও শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৩’র ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এছাড়া মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি আহমেদ ফিকরি জাকিয়ান, বিএমসিসিআই’র কোষাধ্যক্ষ এম.এ. বকর, বিএমসিসিআই’র পুর্ববর্তী সাবেক মহাসচিব আশরাফুল হক চৌধুরি, যুগ্ম মহাসচিব ওং কাহ এবং পরিচালক এসকে. নাসিম ইমাম, রুবাইয়্যাত আহসান, বেগম আজিজা সেলিম এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির কম্যুনিকেশন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।