মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে ধর্ষণ পরীক্ষা কেন অবৈধ নয়
পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে ধর্ষণ পরীক্ষা কেন অবৈধ নয়
ধর্ষিতার বয়স নির্ধারণের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষা পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে করানোকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের আদালত মঙ্গলবার স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ও প্রিন্সিপাল, ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ও ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে ২৮ এপ্রিল তলব করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা?’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ও জাইদী হাসান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষণের শিকার নারীর শারীরিক পরীক্ষা করেন পুরুষ চিকিৎসক। ওই চিকিৎসককে সহায়তা করেন পুরুষ ওয়ার্ডবয়। দেশের সবচেয়ে গৌরবময় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের প্রমাণপত্র নিতে এসে নারীকে চরম লজ্জা আর অপমানের মুখোমুখি হতে হয় প্রায়ই।
ধর্ষণ, হত্যা, দুর্ঘটনার মামলা অথবা ছেলে বা মেয়ের বয়স নির্ধারণে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে সনদ নিতে হয়। আইনের চোখে এ সনদ গুরুত্বপূর্ণ দলিল। অনেকে মনে করেন, এ দলিল পেতে দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার হন নারী। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে কোনো নারী চিকিৎসক নেই। কোনো নারী নার্স, এমনকি আয়াও নেই। অধ্যাপকসহ নয়টি চিকিৎসকের পদের একটিতেও নারী নেই। ১৫ বছর আগে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এত দিনে পিয়ন পদে একজন নারী ছাড়া আর কোনো পদে কোনো নারীকে পদায়ন করা হয়নি।