রবিবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ৩০ দিনেই মঙ্গল গ্রহে যাওয়া যাবে !!!
৩০ দিনেই মঙ্গল গ্রহে যাওয়া যাবে !!!
মহাকাশচারী মাত্র ৩০ দিনেই মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে যেতে পারবেন। এমনই একটি চমকপ্রদ খবর প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স-এ।
তথ্য মতে, প্রচলিত রকেটের চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন ফিউশন রকেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ু ও মহাকাশবিদ্যা বিভাগের গবেষণা সহযোগী অধ্যাপক জন স্লাউ জানান, তাদের উদ্ভাবনগুলো পরীক্ষা করার জন্য সবকটি যন্ত্রাংশ একসঙ্গে জুড়তে হবে। তিনি বলেন, বছরখানেকের মধ্যেই প্রযুক্তিটির পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। তবে কয়েক কোটি ডলার সহায়তা পেলে আরো সস্তা, উন্নত ও অধিক গতিসম্পন্ন ফিউশন রকেট প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।
অর্ধশতাব্দী ধরে ফিউশন প্রযুক্তির উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইগনিশন ফ্যাসিলিটিতেই এ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি ডলার। অবশ্য এখানকার বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে লেজারের সঙ্গে ডিউটেরিয়াম-ট্রিটিয়াম মৌলের বিশেষ সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তীব্র গতিসম্পন্ন জ্বালানি তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন; নিউ মেক্সিকোয় অবস্থিত স্যানডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ তৈরি করেছে সবচেয়ে ক্ষমতাধর কৃত্রিম বিকিরণ উত্স। ফ্রান্সে আইটিইআর ফ্যাসিলিটি তৈরি করছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যাগনেটিক প্লাজমা চেম্বার।
বিজ্ঞানীরা জানান, ফিউশন রকেট তৈরিতে এসব প্রযুক্তি খুবই কাজে দেবে। কিন্তু কোনোটিকেই এখন পর্যন্ত নিরাপদভাবে স্বল্প পরিসরে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এদিক দিয়েই এগিয়ে গেছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, সবসময় বলা হয় ফিউশন প্রযুক্তি উন্নয়নে ৩০ বছর সময় লাগবে। স্লাউ বলেন, ‘আমরা দেখিয়ে দেব এ টিটকারী করার সুযোগ আর থাকছে না। এক বছরের মধ্যেই চমকে দেয়ার মতো কিছু একটা দেখিয়ে দেব আমরা। খুব সম্ভবত এ গ্রীষ্মেই যুগান্তকারী কিছু দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব।’
বিজ্ঞানীদের মতে, এটা হচ্ছে একটা রকেটের পেছনে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো ব্যাপার। এমনিতে এ রকম ঘটনা ঘটলে রকেটটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কিন্তু এ শক্তিকেই প্রোপালশনের কাজে লাগাতে পারলে প্রায় আলোর গতিতে মহাকাশ ভ্রমণ করা সম্ভব হবে।