শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ই-টেক অ্যাওয়ার্ড ২০১৩-এর বিচারক হলেন মোজাহেদুল ইসলাম
ই-টেক অ্যাওয়ার্ড ২০১৩-এর বিচারক হলেন মোজাহেদুল ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়্যারলেস অ্যাসোসিয়েশন সিটিআইএ আয়োজিত ইমার্জিং টেকনোলজি (ই-টেক) অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে সিটিআইএ কর্তৃক মনোনীত হয়েছেন তরুণ আইটি সাংবাদিক এবং দৈনিক ইত্তেফাক-এর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক মোজাহেদুল ইসলাম। প্রতিযোগিতায় ‘নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন-বিল্ডিং ওয়্যারলেস: স্মল সেল, ওয়াই-ফাই, ল্যান’ ক্যাটাগরির প্রতিযোগীদের বিচার করবেন তিনি। ২০০৬ সালে শুরু হওয়া ই-টেক’র এটি অষ্টম আয়োজন। এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির ১৭টি খাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি পণ্যকে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে। শুরুর পর থেকেই এই ই-টেক অ্যাওয়ার্ড ওয়্যারলেস পণ্য ও সেবাকে উৎসাহিত করে আসছে। আর এই অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবেই কাজ করবেন মোজাহেদুল ইসলাম।
প্রতিবছরেই এই প্রতিযোগিতায় বিপুল পরিমাণে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা পুরস্কারের বিবেচনার জন্য জমা পড়ে। এবারেও রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়ন জমা পড়েছে এই প্রতিযোগিতায়। ১ এপ্রিল থেকেই চলছে এই প্রতিযোগিতার অনলাইন বিচার কার্যক্রম, যা চলবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই প্রতিযোগিতায় ওয়্যারলেস এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি, অবকাঠামো এবং মোবাইল অ্যাপস-এই তিনটি মূল ক্যাটাগরির অধীনে সর্বমোট ১৭টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম ও ওয়্যারলেস পণ্য ও সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। অনলাইন বিচার কার্যক্রম শেষে ফাইনালিস্টদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। আগামী ২১ থেকে ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের স্যান্ড এক্সপো অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে সিটিআইএ’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওয়্যারলেস প্রযুক্তি, সেবা ও পণ্যের প্রদর্শনী ‘সিটিআইএ ২০১৩- দ্য মোবাইল মার্কেটপ্লেস’। এই আয়োজনেই ২২ মে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মোজাহেদুল ইসলাম (ঢেউ)
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র বিচারক হিসেবে মনোনীত মোজাহেদুল ইসলাম (ঢেউ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০২ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি এমবিএ ডিগ্রিও লাভ করেন। আইসিটি জার্নালিস্ট হিসেবে তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০২ সালে, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ই-বিজ-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে। বর্তমানে তিনি দেশবরেণ্য দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক-এর তথ্যপ্রযুক্তি পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের আইসিটি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফ-এর তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সংগঠনের তিনি সক্রিয় সদস্য। এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস), ইন্টারনেট সোসাইটি (আইএসওসি) প্রভৃতি। উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি, ই-গভর্ন্যান্স, ই-কমার্স, শিক্ষা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল জীবনযাত্রা, ডিজিটাল বৈষম্য, টেলিযোগাযোগ খাত, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোসহ তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে তিনি খবর এবং ফিচার তৈরি করছেন নিরলসভাবে। তিনি ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের ফেলোশিপ, ২০০৬ সালে শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের ফেলোশিপ, এশিয়া কমনস ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি ডয়েচ ভেলে’র গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর টেলিকম সম্মেলনসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক নানা ধরনের সম্মেলন এবং প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে তিনি বাংলা ভাষায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সর্বমোট ১১টি বই লিখেছেন। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে নেটওয়ার্কিং, ট্রাবলশুটিং, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, পিএইচপি, জুমলা প্রভৃতি বিষয়ের উপর বই