মঙ্গলবার ● ২৬ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ১৪০ কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব দিল গ্রামীণফোন
১৪০ কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব দিল গ্রামীণফোন
।। আইসিটি শিল্প ও বাণিজ্য ।। ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধের মাধ্যমে ভ্যাট রেয়াত নেয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলা গ্রামীণফোন ও এনবিআরের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।ব্যাংক হিসাব জব্দের হুমকি এবং সার্বিক বিবেচনায় গতকাল বেলা ২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চালানের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা জমা দেয় বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) লাইসেন্স নবায়ন ফির ভ্যাট বাবদ অবৈধভাবে রেয়াত নেয়া অর্থ পরিশোধে দীর্ঘদিন ধরে গড়িমসি করে আসছিল গ্রামীণফোন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকালের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করলে ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে জানিয়ে দেয় এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে এলটিইউর (ভ্যাট) অতিরিক্ত কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী বলেন, ‘গ্রামীণফোনকে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সময় দেয়া হয়েছিল। এরপর আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। বিষয়টি তাদের জানানোর পর তারা পাওনা অর্থ পরিশোধ করে।’
এ নিয়ে আইসিটি নিউজ-এ গতকাল ‘রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে গ্রামীণফোন !!! ব্যাংক হিসাব জব্দ হচ্ছে আজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
প্রসঙ্গত, টুজি লাইসেন্স নবায়নের অর্থ গ্রামীণফোন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে পরিশোধ করে। সেখান থেকেই তারা ভ্যাটের অর্থ রেয়াত নেয়। তবে এনবিআরের দাবি, বিটিআরসি ভ্যাটের অর্থ রেয়াত দেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ নয়। একই সঙ্গে টুজি লাইসেন্স নবায়নের উেস ভ্যাট রেয়াতযোগ্য নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে টুজি লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে গ্রামীণফোনের বড় অঙ্কের ভ্যাট রেয়াতের বিষয়টি এনবিআরের নজরে আসে। সে সময় দুই দফায় অর্থ পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হয়। গ্রামীণফোন অর্থ পরিশোধ না করে মামলা করে। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অর্থ পরিশোধের জন্য গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেন।
সেলফোন অপারেটরটি এরপর হাইকোর্টে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ মাসের ১০ তারিখে আপিল বিভাগ থেকে গ্রামীণফোনের আবেদনে নো-অর্ডার দেয়ায় তাদের কাছে বকেয়া অর্থ পেতে সব বাধা দূর হয়। অবৈধভাবে রেয়াত নেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য সর্বশেষ সাত কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয় এনবিআর, গত বৃহস্পতিবার যা শেষ হয়।