বুধবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ভারতে মোবাইল থেকে একশ’র বেশি বার্তা পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা
ভারতে মোবাইল থেকে একশ’র বেশি বার্তা পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা
মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান টেলিকম রেগুলেটরি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। মুঠোফোন বার্তার সংখ্যা নির্ধারণে দেশটিতে নতুন বিধি তৈরি করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এ বিধি অনুযায়ী একদিনে ১০০টির বেশি বার্তা কেউ একই মুঠোফোন থেকে পাঠাতে পারবেন না। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ বিধি কার্যকর হয়। বিবিসি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
নতুন এ বিধির কারণে লাখ লাখ মুঠোফোন ব্যবহারকারী অহেতুক অসংখ্য বার্তার যন্ত্রণা থেকে বড় ধরনের মুক্তি পাবে। টেলি-কোম্পানিগুলোর লাগাম টেনে ধরতে অতীতে ভারত অনেক চেষ্টা করেছে। দিলি্ল থেকে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলেন, অহেতুক বাণিজ্যিক বার্তা ও কল থেকে মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মুক্তি দিতে ভারতে আগের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ১৯০৯ নম্বরে বার্তা পাঠিয়ে ‘জাতীয় কল করবেন না’ (ন্যাশনাল ডু নট কল) তালিকায় তাদের মুঠোফোন নম্বর নিবন্ধন করতে পারবেন। গত ডিসেম্বরে ‘জাতীয় কল করবেন না’ তালিকায় নিবন্ধিত নম্বরে কল করা বা বার্তা পাঠানোর জন্য টেলি-কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের জরিমানা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বাণিজ্যিক কল বা বার্তা প্রেরণ বন্ধ করে দেয় ট্রাই। কিন্তু গভীর রাতে বার্তা পেত গ্রাহকরা । বিবিসির সংবাদদাতা জানান, অনেক সময় ভোর ৩টায় বার্তা আসত।
অনেক মুঠোফোন ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, টেলি-কোম্পানিগুলো ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট ও ওজন কমানোর জন্য ‘সিস্নম সাউনা বেল্ট’ সব কিছুই বিক্রির চেষ্টা করত বার্তা বা কলের মাধ্যমে। তারা টেলি-প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব বার্তা ও কলকে তাদের ওপর নিপীড়ন মনে করতেন। প্রতি মুঠোফোন থেকে ১০০টি বার্তা পাঠানোর বিধি এ সমস্যার সমাধান করবে বলে গ্রাহকরা আশাবাদী।
বিশ্বের দ্রুততম বিকাশমান মুঠোফোন বাজার হচ্ছে ভারত। দেশটিতে ৭০ কোটিরও বেশি মুঠোফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।