সোমবার ● ১১ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » নিউজ আপডেট » কাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
কাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
আগামীকাল মঙ্গলবার আবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। আজ সোমবার জোটের সমাবেশস্থলের কাছে ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
আজ বেলা সোয়া তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সমাবেশের সর্বশেষ বক্তব্য দিচ্ছেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পর পর ছয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর মির্জা ফখরুল আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ শেষ করেন।
ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেন। এ সময় পুলিশ-র্যাব ছিল নীরব।
অন্যান্য দিনের সমাবেশের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত দিকে বিপুলসংখ্যক র্যাব-পুলিশ মোতায়েন রাখতে দেখা যায়। কিন্তু আজ কার্যালয়ের কাছাকাছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। পশ্চিমে সমাবেশস্থলের কয়েক শ গজ দূরে নাইটিংগেল মোড়ে এবং পূর্বে দিকেও পুলিশের অবস্থান ছিল সমাবেশস্থলের কয়েক শ গজ দূরে।
সমাবেশের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন এলাকায় ভাঙচুর শুরু করেন জোটের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে কাঁটাতারের খুঁটি তুলে, গাছ উপড়ে ফেলে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে জোটের নেতা-কর্মীরা হরতাল হরতাল বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং থেমে থেমে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। নাইটিংগেল মোড়ের দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও তাঁরা ভাঙচুর চালান। প্রায় আধা ঘণ্টা নেতা-কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে, ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখান। পুরো সময়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নীরব থাকতে দেখা যায়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। অনেকে বিভিন্ন অলিগলি হয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের ধরতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে।
‘আওয়ামী সরকারের পুলিশ, র্যাব ও তাদের সহায়তায় সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নির্বিচার গণহত্যা এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা ও তাঁদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে’ ১৮-দলীয় জোট বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে গত সপ্তাহে রোববার ও সোমবার জামায়াতের ডাকে এবং মঙ্গলবার বিএনপির ডাকে হরতাল পালিত হয়। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার আবারও হরতাল পালন করে ১৮-দলীয় জোট। সূত্র - প্রথম আলো