সোমবার ● ১১ মার্চ ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গ্রামীণফোনের লাইসেন্স অবৈধ !!
গ্রামীণফোনের লাইসেন্স অবৈধ !!
৷৷আইসিটি নিউজ ৷৷ লাইসেন্স রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে বেসরকারি মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন। সরকারের গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদনে সম্প্রতি গ্রামীণফোনের লাইসেন্স অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করেছে। এরপরই মূলত প্রতিষ্ঠানটি তার লাইসেন্স রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠে।সূত্র জানায়, করণীয় ঠিক করতে রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়াম্যান সিগভে ব্রেক্কে। এদিন সকাল তিনি ঢাকা আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে নেমেই চলে যান সচিবালয়ে। সেখানে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আড়াইটায় বৈঠকে বসেন। চলে সেটি প্রায় সোয়া ৫টা পর্যন্ত। পৌনে তিন ঘণ্টার এ বৈঠকে সেখানে গ্রামীণের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, কমিশনের প্রতিবেদনটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাতে জমা দেওয়ার পর টনক নড়ে গ্রামীণফোনের।
বৈঠকের একটি সূত্র জানিয়েছে, লাইসেন্স ইস্যুতে গ্রামীণফোনের করণীয় কি সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। তবে অর্থমন্ত্রী এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানান নি। তিনি সিগভে ব্রেক্কেকে বিধি মোতাবেক এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্রমতে, গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার নরওয়ের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনরের কাছে চলে যায়। বাকি ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের হাতে। আর ১০ শতাংশ গ্রামীণ টেলিকমের মূল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের সাধারণ বিনিয়োগকারিদের হাতে।
ওই সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গ্রামীণ ব্যাংক সংস্কারে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়। ১৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক আমলা মামুন উর রশিদ। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হিসেবে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসাইন কিউসি এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।
সূত্র জানায়, সেই প্রতিবেদনের ১৩৩ থেকে ১৩৫ পৃষ্ঠায় গ্রামীণফোনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর গ্রামীণ টেলিকম, টেলিনর এবং গণফোন একটি সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে টেলিফোন কোম্পানি গঠন করে। সেখানে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার টেলিনরের হাতে, ৫১ শতাংশ গ্রামীণ টেলিকমের কাছে ও সাড়ে ৪ শতাংশ গণফোনের কাছে রাখার প্রস্তাব করা হয়।
কশিনের প্রতিবেদনে অনুসারে, গ্রামীণফোন ১৯৯৬ সালের ১১ নভেম্বর সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে এবং একই বছরের ২৮ নভেম্বর লাইসেন্স পায় গ্রামীণ কনসোর্টিয়াম। আর ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ এটি কার্যক্রম শুরু করে। তবে সরকার লাইসেন্স দিয়েছে গ্রামীণ কনসোর্টিয়ামকে। গ্রামীণফোনের নামে কোনো লাইসেন্স দেয়নি। তাই এর ব্যবসা অবৈধ। সরকারকে দ্রুত এর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের সুপারিশে। -বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম