বুধবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » পাইরেসি ঠেকাতে
পাইরেসি ঠেকাতে
৷৷আইসিটি শিল্প ও বাণিজ্য ৷৷পাইরেসি রোধে কপিরাইট অ্যালার্ট সিস্টেম (সিএএস) চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এটিঅ্যান্ডটি, ক্যাবলভিশন, ভেরাইজোন, টাইম ওয়ার্নার ও কমক্যাস্টের যৌথ উদ্যোগে চালু করা সিক্স স্ট্রাইকস নামের এ পদ্ধতিতে ভোক্তাদের শুধু কপিরাইট করা মুভি, গানসহ অন্যান্য কনটেন্ট ডাউনলোডে বাধ্য করা হবে। খবর সি-নেটের।
এক যৌথ বিবৃতিতে কোম্পানিগুলো জানায়, পাইরেটদের বদলে ভোক্তারাই বেশি পরিমাণ কপিরাইট ভঙ্গ করে থাকেন।
এজন্য কপিরাইট পাইরেটদের বদলে ভোক্তাদেরই অবৈধ ডাউনলোডের জন্য দায়ী করাটা বেশি যুক্তিযুক্ত।
গতকাল চালু হওয়া সিএএস নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও উন্মুক্ত ইন্টারনেটের সমর্থকরা এর ঘোর বিরোধিতা করছেন। কোম্পানিগুলো অবশ্য জানায়, অবৈধভাবে গেম, মুভি কিংবা সঙ্গীত ডাউনলোড করার জন্য ভোক্তাদের গ্রেফতার, জরিমানা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা করা হবে না। তার বদলে ভোক্তাদেরকে শুধু বৈধ ডাউনলোড করার শিক্ষা দেয়া হবে। কীভাবে বৈধ ডাউনলোড লিংক শনাক্ত করতে হয় এবং মেধাস্বত্ব রক্ষা করা যায়, তা ভোক্তাদের জানাবে সিএএস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রুপ সেন্টার ফর কপিরাইট ইনফরমেশন (সিসিআই)।
সিসিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক জিল লেসার বলেন, ‘অনেক সময় নিয়ে যুগান্তকারী এবং অত্যন্ত কার্যকর এ পদ্ধতি যৌথভাবে চালু করা হয়েছে। এতে অনলাইন পাইরেসি ঠেকানোর পাশাপাশি বৈধভাবে ডিজিটাল মিউজিক, মুভি এবং টিভি শো ব্যবহারের পক্ষে প্রচার চালানো হবে। পিয়ার টু পিয়ার পাইরেসির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ভোক্তাদের কাছে নতুন উপায়ে পৌঁছানো যাবে সিএএসের মাধ্যমে।’
সিসিআই প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল অবদান রয়েছে হলিউডের বিভিন্ন স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের। এদের সঙ্গে কাজ করছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও (আইএসপি)।
পুরো বিষয়টিকে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। আর সরাসরি এ পদ্ধতি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে এটিঅ্যান্ডটি, ভেরিজোন, টাইম ওয়ার্নার এবং কমক্যাস্ট।
২০১১ সাল থেকেই সিএএস পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করে আসছে প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বছরের নভেম্বরেই এটা চালু করার কথা ছিল। তবে আইএসপিগুলোর দীর্ঘসূত্রতা এবং হ্যারিকেন স্যান্ডির কারণে সিএএসের উদ্বোধন পিছিয়ে দেয় সিসিআই।
সিক্স স্ট্রাইকের মাধ্যমে আইএসপিগুলোকে ভোক্তাদের অবৈধ ডাউনলোড কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করবে সিসিআই। তখন সেবাদাতা কোম্পানিটি ওই ভোক্তা কিংবা গ্রুপকে একটি সতর্কীকরণ নোটিস পাঠাবে। এতে অবৈধ ডাউনলোডের ফলাফল সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে ভোক্তাকে।
যারা এই সতর্কীকরণ নোটিস অবজ্ঞা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে চাপ বাড়ানো শুরু করবে আইএসপি কোম্পানি। পর পর ছয়বার নোটিস অগ্রাহ্য করা হলে ভোক্তার ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে আইএসপি।
তবে এতে ভোক্তার সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
যদি কোনো ভোক্তা মনে করেন যে, তার সংযোগ ভুল করে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে; তখন কোম্পানির কাছে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি তখন এ ধরনের মামলা কোনো আইনি গ্রুপের কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানোরও সুযোগ থাকবে। তবে কপিরাইট মালিকদের দায়ের করা মামলা থেকে ইন্টারনেট ভোক্তাদের রক্ষার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি এতে।
এদিকে সাইবার লকার, ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট এবং ড্রপবক্সের মতো সেবার মাধ্যমে ছড়ানো পাইরেটেড কনটেন্ট ঠেকানোর কোনো সুযোগ নেই সিক্স স্ট্রাইক নামের এ পদ্ধতিতে।
এক ব্লগ পোস্টে লেসার বলেন, ‘আশা করছি, সবাই স্বেচ্ছায় এ পদ্ধতি কার্যকর করতে ভূমিকা রাখবেন। ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট ইকোসিস্টেম রক্ষার্থে সিএএস একটি আদর্শ মানদণ্ড হিসেবে কাজ করবে। এতে সুবিধা পাবেন কনটেন্ট নির্মাতার পাশাপাশি ভোক্তাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়া পরিবেশকরাও।’
তার মতে, ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহারের অধিকার ও দায়িত্ব নিশ্চিত হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগ যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে উদ্ভাবন। সেসঙ্গে নিত্যনতুন উপায়ে সঙ্গীত, ভিডিও কিংবা ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করারও সুযোগ
সৃষ্টি হবে।’
(আইসিটি নিউজ, প্রযুক্তি সংবাদ,আইটি নিউজ,আইটি সংবাদ,বাংলাদেশ প্রযুক্তি, প্রযুক্তি পণ্য,তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদ, সর্বশেষ প্রযুক্তি সংবাদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,ডিজিটাল বাংলা এর সর্বশেষ সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.dailyictnews.com )