মঙ্গলবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ভয়েস কলকে ছাড়িয়ে যাবে মোবাইল ডাটা
ভয়েস কলকে ছাড়িয়ে যাবে মোবাইল ডাটা
৷৷ আইসিটি নিউজ ডেস্ক ৷৷আগামী পাঁচ বছরে ভয়েস কলকে ছাড়িয়ে যাবে সেলফোনে ইন্টারনেট কিংবা টেক্সট মেসেজের ব্যবহার। জিএসএম নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর সংগঠন জিএসএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে মোবাইলের ডাটা থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বাড়বে। খবর ফোন এরেনার।
সংগঠনটির মতে, ডিভাইসগুলোয় সংযোগসহ মেশিন থেকে মেশিনের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় তথ্য আদান-প্রদান বাড়বে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বে মোবাইলের মাধ্যমে জীবন বাঁচানোও সম্ভব হবে। আফ্রিকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন নিরাপদ করতে সহায়ক হবে মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা।
জিএসএমএর পাঁচ বছর মেয়াদি পূর্বাভাসটি মিলে গেছে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের সঙ্গে। বার্সোলনার চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসেও একই কথা জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মাসহ এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতেও মোবাইল সংযোগের ব্যবহার বাড়বে।
তাছাড়া, পরিবহনে অব্যবস্থাপনাসহ মজুদব্যবস্থায় নানা সমস্যার কারণে প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়। বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের মধ্যেই পরিবহন ও মজুদ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় ৪ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
মোবাইল হ্যান্ডসেট, ই-রিডার ও ট্যাবলেটের ব্যবহার ২০১৭ সালের মধ্যে ১৮ লাখেরও বেশি শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে বলে প্রতিবেদনে জিএসএমএ জানায়।
জিএসএমএর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মাইকেল ও’হারা বলেন, ‘মোবাইল ডাটা কোনো পণ্য নয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, সমাজ ও অর্থনীতিতে ক্রমেই মিশে যাচ্ছে। নানা সুবিধা কারণে এ প্রযুক্তিতে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছেন হাজারো গ্রাহক।’
তাছাড়া, ২০১৪ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ভয়েস কলের তুলনায় মোবাইল ডাটা থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়বে।
মোবাইল ডাটা থেকে সর্বোচ্চ আয়ের মাইলফলকে এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। চলতি বছরই দেশটির মোবাইল ডাটা থেকে আয় বাড়বে। পিছিয়ে নেই আফ্রিকা ও কেনিয়াও। দেশ দুটি তাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবে ২০১৬ সালেই।
মোবাইল ডাটার মাধ্যমে শুধু উন্নয়নশীল বিশ্বই লাভবান হবে না, জিএসএমএর তথ্য অনুযায়ী, ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবায় এর ব্যবহার ২০১৭ সালের মধ্যে বার্ষিক ৪০ হাজার ডলার খরচ কমাতে পারবে।
গাড়িতে এর ব্যবহার জরুরি কলের মাধ্যমে প্রায় নয়টি জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে। তাছাড়া এতে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বিষয়। এর স্মার্ট মিটারিং সেবা ২ কোটি ৭০ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ ঠেকাতে উপযোগী, যা প্রায় ১২০ কোটি গাছের কাজ করে। জিএসএমএর সদস্যরাও তাদের সৃষ্টির দ্বারা লাভবান হবেন।
(আইসিটি নিউজ, প্রযুক্তি সংবাদ,আইটি নিউজ,আইটি সংবাদ,বাংলাদেশ প্রযুক্তি, প্রযুক্তি পণ্য,তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদ, সর্বশেষ প্রযুক্তি সংবাদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,ডিজিটাল বাংলা এর সর্বশেষ সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.dailyictnews.com )