সোমবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » প্রার্থনার সামাজিক যোগাযোগ সাইট
প্রার্থনার সামাজিক যোগাযোগ সাইট
৷ আইসিটি নিউজ ডেস্ক ৷ প্রার্থনার শক্তিতে পূর্ণ বিশ্বাস আছে জেমি কাফলিনের। আর সেটা এতই বেশি যে, শেষ পর্যন্ত প্লাসগ্রেইস নামের একটি ওয়েবসাইটই তৈরি করে ফেলেছেন তিনি; যেখানে গ্রাহকরা অন্যদের অনলাইনে প্রার্থনা কিংবা প্রার্থনাকারীদের ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থদান করতে পারবেন। এভাবে সংগৃহীত অর্থের সামান্য অংশ নিয়েই মেটানো হচ্ছে সাইট চালানোর ব্যয়।
কাফলিন বলেন, ‘বহু লোকই বলে, চারদিকে শুধুই নেতিবাচক সংবাদ; আর আমি কিছুই করতে পারছি না। এদের জন্যই মূলত প্লাসগ্রেইস।’ তার মতে, সরাসরি কিছু করার সাধ থাকলেও যাদের সাধ্য নেই, তাদের জন্য একটা পথই খোলা- প্রার্থনা।
মুনাফার জন্য চালু করা এ সাইটের নকশা এবং তৈরির কাজটি করেছেন ৩২ বছর বয়সী কাফলিন ও তার ছোট ভাই। গত নভেম্বরের অল সোলসে ডেতে কোম্পানি হিসেবে এর নিবন্ধন হয় আর সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয় জানুয়ারিতে। একেবারে সাধারণ এবং ব্যবহারবান্ধব এ সাইটে রয়েছে মাত্র দুই ধরনের বিশ্বাসভিত্তিক প্রার্থনার ব্যবস্থা; হয় অন্যদেরকে প্রার্থনা করতে আবেদন জানানো কিংবা অর্থ এবং প্রার্থনা দুইই চাওয়া। এই প্রচারণাগুলো আবার দু’ভাগে ভাগ করা হয়; সাম্প্রতিক কিংবা অন্যান্য।
সাইটটিতে কোনো প্রচারণা শুরু করতে হলে সাধারণভাবে একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই চলে। তাতে কয়েকটি ছবি, একটি শিরোনাম আর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে দু-চার লাইন কথা- এতটুকুই যথেষ্ট। অবশ্য এটা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যে, গ্রাহক অর্থ নাকি আত্মার শক্তিতে বিশ্বাসী। প্রার্থনা এবং অর্থ চাওয়ার সময় নাম গোপন রাখার সুবিধা আছে এতে। কাফলিনরা ক্যাথলিক হলেও, সব ধর্মের লোকের জন্যই এ সাইটে প্রার্থনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ সাইটে প্রাথমিকভাবে যোগ দিয়েছে নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি খাদ্য ব্যাংক এবং টেনেসিভিত্তিক একটি আত্মিক দল।
সাইটে প্রার্থনার আবেদন করতে কোন ফি গুনতে হবে না। তবে আর্থিক অনুদান দিতে গেলে সাইটটি ২ থেকে ৫ শতাংশ অর্থ লেনদেন ফি হিসেবে কেটে রাখবে। কাফলিনের মতে, এ সাইট বিশ্বাসের নতুন একটি জায়গা। তিনি জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন সাপ্তাহিক ভিত্তিতে এ সাইটে প্রার্থনার আয়োজন করবে, তাদের জন্য লেনদেন ফি আরো কমিয়ে রাখা হবে। তার মতে, এ ধরনের অনুষ্ঠানে অর্থের লেনদেন অনেক বেশি হয়, তাই ফি কমিয়ে রাখাই যায়।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা কাফলিন বর্তমানে নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি নবীন কোম্পানি তত্ত্বাবধায়ন সংস্থায় কাজ করছেন। তার মতে, লেনদেন ফি না থাকলে প্লাসগ্রেইসকে চালানো সম্ভব নয়; কিন্তু মূল উদ্দেশ্য প্রার্থনা থেকেও সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, একে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন প্রার্থনার জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। অনেক ক্ষেত্রে আপনার হাতে হয়তো অর্থ থাকবে না। কিন্তু প্রার্থনার শক্তিকে ভুলে গেলে চলবে না। তাই এখানে প্রার্থনা করুন অন্যদের জন্য।
প্লাসগ্রেইসের প্রচারণার জন্য এরই মধ্যে ভ্যাটিকানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কাফলিন। বর্তমানে বিদায়ী পোপ বেনেডিক্ট এবং চার্চের কার্ডিনালদের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেছে সাইটটি। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র সাতজন এ প্রার্থনায় যোগ দিয়েছেন!
(আইসিটি নিউজ, প্রযুক্তি সংবাদ,আইটি নিউজ,আইটি সংবাদ,বাংলাদেশ প্রযুক্তি, প্রযুক্তি পণ্য,তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদ, সর্বশেষ প্রযুক্তি সংবাদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,ডিজিটাল বাংলা এর সর্বশেষ সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.dailyictnews.com )