রবিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইন্টারনেট উৎসব ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু
ইন্টারনেট উৎসব ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু
ইন্টারনেটের শক্তি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন ও প্রথমআলো যৌথ উদ্যোগে ‘গ্রামীণফোন-প্রথমআলো ইন্টারনেট উৎসব’-এর উদ্বোধন করেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করা হয়।
এ উদ্যোগের আওতায় দেশব্যাপী ১ হাজারেরও বেশি স্কুল ও কলেজের অংশগ্রহণে একশ’টিরও বেশি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের স্কুল-কলেজ পড়-য়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত এ উৎসবকে সফল করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে এবং অপেরা মিনি সহযোগিতা করছে ব্রাউজার পার্টনার হিসেবে।
এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে জেনে নিতে পারবে মুহূর্তেই। তারা জ্ঞান-ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে সঠিক উত্তর খুঁজে নিতে পারবে। উৎসবের অন্যতম অংশ কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে আই-জিনিয়াস হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তীতে বিজয়ীদেরকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। আই-জিনিয়াসকে তার এলাকায় ইন্টানেট-দূত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে সে তার এলাকায় ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত প্রচারণা চালাবে।
এই উৎসবে অডিও ভিজুয়ালের মাধ্যমে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের অবহিত করা হবে। দর্শকদের জন্য থাকবে ইন্টারঅ্যাকটিভ গেমস্ সেশন, যেখানে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা জিতে নিতে পারবে আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। এছাড়া আগ্রহী শিক্ষক, ছাত্রÑছাত্রী ও তাদের বাবা-মাকে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে।
এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “সারাদেশে এই উৎসব আয়োজনে গ্রামীণফোনের সহযোগী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে আয়োজিত এ ধরণের উদ্যোগের প্রচারণা চালাতে প্রথম আলো সবসময় কাজ করে এসেছে।”
অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান তার ভাষণে বলেন,”এই ইন্টারনেট মেলা তরুণদের তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করবে। এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বত্র ইন্টারনেটের আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যকে সহায়তা করবে।”
গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির বলেন, “এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে আরো একটি সফল পদক্ষেপ। যেহেতু ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যত, তাই তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে যাতে আগামীতে তারা জাতি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।”