রবিবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ডিআইইউ’র একাদশ বর্ষপূর্তি উৎসব
ডিআইইউ’র একাদশ বর্ষপূর্তি উৎসব
(আইসিটি নিউজ ডেস্ক) বর্ণিল আয়জনে অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র একাদশ বর্ষপূর্তি উৎসব। ১৬ ফেব্রুয়ারি একাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান । অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি ছাত্রদের মাঝে ভবিষ্যত দেখতে পাই। এই প্রজন্মের ছাত্ররা ফ্রিল্যান্সে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন ফ্রিল্যান্সে বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, ত্যপ্রযুক্তি হাতের নাগালে না এলে দেশের আধুনিকায়ন সম্ভব নয়। তাই তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের তরুনদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীরাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের স্বপ্ন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ-বিদেশের শীর্ষ মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা। শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা দেশের একমাত্র ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল বর্তমানে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে দেশের উন্নয়নে ও সামাজিক পরিবেশ পরিবর্তন করতে মেধা ও প্রযুক্তিকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান এবং প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আমিনুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন ।দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বাস র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, বিভিন্ন বিভাগের প্রদর্শনী, বৃক্ষরোপন, বনভোজন, সেলিব্রেটি শো, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, র্যাফেল ড্র প্রভৃতি। সবশেষে ‘শিরোনামহীন’ ব্যান্ড দলের লাইভ কনসার্ট সবাইকে মাতিয়ে তোলে।