শুক্রবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » থ্রিজি লাইসেন্সের নিলাম ২৪ জুন
থ্রিজি লাইসেন্সের নিলাম ২৪ জুন
বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজিসেবা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রস্তাবনাসহ আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২৪ জুন থ্রিজি লাইসেন্সের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল এ আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে এ সেবার চূড়ান্ত লাইসেন্সিং নীতিমালাও প্রকাশ করেছে কমিশন।
নীতিমালা অনুযায়ী, নিলামে অংশ নিতে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে মেগাহার্টজপ্রতি ২ কোটি মার্কিন ডলার। আবেদনপত্র ফি ৫ লাখ টাকা। লাইসেন্স নিতে ১০ কোটি টাকা করে দিতে হবে। আর বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৫ কোটি টাকা। নিলামে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট তরঙ্গ ফির ৬০ শতাংশ ৩০ কার্যদিবস ও ৪০ শতাংশ পরবর্তী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে। ১৫ বছরের জন্য দেয়া হবে এ লাইসেন্স। পরবর্তী সময়ে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ থাকবে। পাঁচ মেগাহার্টজ করে মোট আটটি ব্লকে অনুষ্ঠিত হবে নিলাম।
থ্রিজি লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজি নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১২ মে। যাচাই-বাছাই শেষে নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০ মে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩০ মের মধ্যে আর্নেস্ট মানি জমা দিতে হবে। বিটিআরসি ৫ জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে নিলামে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
জানা গেছে, লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য যেকোনো দেশী বা যৌথ বিনিয়োগ (দেশী বা বিদেশী) কিংবা সম্পূর্ণ বিদেশী প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে। বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগ হতে হবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে যোগ্যদের নিয়ে তরঙ্গ বরাদ্দে উন্মুক্ত নিলামের আয়োজন করবে বিটিআরসি। থ্রিজি সেবাদানে ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। আর নিরবচ্ছিন্ন ও বহুমুখী সেবা নিশ্চিত করতে মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেবে কমিশন।
বিটিআরসির ওয়েবসাইটে দেয়া লাইসেন্সিং নীতিমালায় এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে আবেদনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা বা সমপরিমাণ ডলারের পে-অর্ডার কিংবা ব্যাংক ড্রাফটের বিনিময়ে লাইসেন্সিং নীতিমালার মূল কপি সংগ্রহ করতে হবে।
লাইসেন্স দেয়ার তিন বছরের মধ্যে দেশব্যাপী এ সেবা চালুর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। তিন ধাপে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা করে নেয়া হবে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে প্রতি ধাপের জন্য ৫০ কোটি টাকা করে কেটে রাখা হবে। আর সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে অর্থ ফেরত পাবে অপারেটররা।
লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে প্রথম দফায় সব বিভাগীয় শহরে থ্রিজিসেবা চালু করতে হবে। বর্তমান সেলফোন অপারেটরদের মধ্যে যারা লাইসেন্স পাবে, তাদের জন্য এ ধাপে সময় দেয়া হবে নয় মাস। আর নতুন অপারেটরের জন্য ১৫ মাস সময় দেবে বিটিআরসি। দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৩০ শতাংশ বিভাগীয় শহরে সেবা চালু করতে হবে। বর্তমান অপারেটররা ১৮ ও নতুন অপারেটর ২৪ মাস সময় পাবে এ ধাপের কার্যক্রম বাস্তবায়নে। তৃতীয় ধাপে সারা দেশে এ সেবা চালু করতে হবে লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে।
থ্রিজি লাইসেন্স পেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বিটিআরসিকে জমা দিতে হবে। সোস্যাল অবলিগেশন ফি ধরা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত মোট আয়ের ১ শতাংশ। - এসবিবি