বৃহস্পতিবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » সমস্যায় আইসিটি মন্ত্রণালয়
সমস্যায় আইসিটি মন্ত্রণালয়
।। সরণী সরকার ।। নতুন মন্ত্রনালয় হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নানান সমস্যা ও প্রতিকূলতার মধ্যে চলছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম । প্রথমেই সমস্যায় পড়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কার্যালয় নিয়ে, আইসিটি কিংবা প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য এটি খুব সুখের ছিল না । বিতর্কিত মন্ত্রীর পদত্যাগের পর আবার শুরু হলো জল্পনা কল্পনা কিন্তু কি হচ্ছে !! মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ের জন্য অফিস বরাদ্দ দেওয়া হলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউঞ্চিল (বিসিসি) ভবন-এ। এখানে চলছে আরেক ধরনের সমস্যা, প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫ তলা বিশিষ্ট বিসিসি ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও ভবনের কাজ প্রকৃতপক্ষে হয়েছে মাত্র ৪ তলা পর্যন্ত। আর এই স্বল্প জায়গায় ঠাঁই পেয়েছে আরও অনেক কার্যালয়। এ ব্যাপারে খোদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ এমপি ক্ষোভ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন- স্থান সংকুলানের দরুণ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে।তিনি আরও বলেন- এই চার তলার মধ্যে বিসিসি ভবনে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউঞ্চিল(বিসিসি), বাংলাদেশ-কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (বিকেআইআইসিটি), কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ও জাতীয় ডাটা সেন্টার, আইসিটি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীর কার্যালয়, আইসিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার ও সফটওয়্যার ফিনিশিং স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান। এত গুলো প্রতিষ্ঠানকে বিসিসি ভবনে স্থান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
১৩ ফেব্রুরায়ী বেলা ১১ টায় বিসিসি ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ লক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সব কথা বলেন।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুসান্ত কুমার সাহা, বিসিসি’র পরিচালক জাভেদ আলী সরকার, আইএমইডি(বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ), বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), গণপূর্ত বিভাগ, পারটেক্স ফার্নিচার লি., স্থাপত্য উপদেস্টা মেসার্স বসত আর্কিটেক্ট,ভবন নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্ট লি. ও তাহের ব্রাদার্স লি. কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভায় দ্রুততম সময়ে ভবনের কাজ সম্পাদনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এবং নিয়মিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা গেছে- এরই মধ্যে আগারগাঁওস্থ শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় ১.২৪৩ একর জায়গায় আনুমানিক ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পঞ্চম থেকে ১১তলা পর্যন্ত সুউচ্চ ভবন সম্প্রসারণের কাজ একনেক অনুমোদন করে।