সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » নিরন্তর চন্দ্রমল্লিকা
নিরন্তর চন্দ্রমল্লিকা
জীবন পথে চলার বাঁকে বাঁকে অনেক চেনা-জানা, আধো চেনা, অনামিকা মুখ উঁকি মারে। তাদের দেখে স্মৃতিগুলো জেগে ওঠে। সেগুলো কখনও বা রঙ্গিন কখনও বা সাদা-কালো, অস্পষ্ট। ছেড়া-কাটা, ফুঁটো স্মৃতিগুলো হাঁতড়ে দেখি চলে এসেছি অনেক পথ। অনেক চড়াই-উৎরাই। কখনও বা মসৃন সে পথ। চলতে গিয়ে পিছলে পড়েছি। পড়েছি পিছিয়ে। তবুও উঠে দাঁড়িয়েছি, চলতে শুরু করেছি তোমারই প্রেরণায়। কিন্তু চলতে, চলতে একশো বছর, হাঁটতে, হাঁটতে হাজার বছর পেরিয়েছি। এখন বড় ক্লান্ত। চলতে গেলে টলতে থাকে শরীর। কেঁপে ওঠে পা। এই অথ্যর্ব শরীরটাকে টানতে পারেনা ন্যূজ মেরুদণ্ড। তবুও তো ছুটতে হবে অনন্ত কাল পর্যন্ত, যতক্ষণ না পাচ্ছি তোমার ই দেখা।
চলা শুরু শৈশব থেকে হাঁমাগুড়ি দিয়ে, এক পা-দু’ পা দিয়ে। তখন পড়েছি, আবার উঠেছি। ব্যথা পেয়েছি,কেঁদেছি কিন্তু মনে নেই। কৈশরে ছুঁটেছি খেলার ছলে উদ্দেশ্যহীন ভাবে। তখনও পড়েছি, ব্যথা পেয়েছি কিন্তু কষ্ট পাই নি। এখন ছুটতে গেলে ব্যথা পাই যতটুকু তার হাজার গুন পাই কষ্ট। এই কষ্ট গুলো কখনো বেঁধে ফেলে আষ্টে-পৃষ্টে। কখনো হই তৃপ্ত। জীবনের এ প্রান্তে দাঁড়িয়ে একটি বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছি- কিছু, কিছু কষ্ট আছে যেগুলো ঐশ্বর্যের মতো ভোগ করা যায়। তবুও মানতে পারেনা মন। মেনে নেওয়া হয় কিন্তু মনে নেওয়া হয় না। কারণ না পাওয়ার বেদনার চেয়ে পেয়ে হারাবার দুঃখ টা অনেক বেশি। তবুও কষ্টের স্মৃতিগুলো রোমন্থন করে পাই কষ্টার্জিত অপার আনন্দ।
‘স্মৃতি তুমি বড় জ্বালাময়’। সারাজীবন ই তোমার আশায় থেকেছি। ছায়ার মত অনুসরন করেছি তোমাকে, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ বলতে পারিনি কখন ও। আজ ও তাই নিরন্তর পথ চলা……।
লিখেছেন- প্রিয়াংশু
আইবিএ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।