সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » একটি সত্য কাহিনী
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » একটি সত্য কাহিনী
৫৯১ বার পঠিত
সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

একটি সত্য কাহিনী

সময়টা ছিল মে মাসের সকাল ১০টা মাথার উপর টনটনে রোদ এস.এস.সি রেজাল্ট নিয়ে নজীবের বাড়ী ফেরা। রেজাল্ট ভালো হওয়াতেও নজীবের মনের বিরুদ্ধে বাবা,মার ইচ্ছায় যশোর শাহীন কলেজে ভতি হওয়া। ওর,ইচ্ছা ছিল ঢাকা নটর ডেম কলেজে পড়ার। কিন্তু বাবা,মার ইচ্ছা ছিলো ছেলে বাসায় থাকবে। এ কারনে পরিবারের চার দেওয়াল পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরিবারের চিন্তা ছোটবেলা থেকে সে একা বড় হয়েছে তাই তাকে যশোরে রাখা হয়েছে। তাছাড়া বাবা,মারও ইচ্ছা ছিল ছেলে কাছেই থাকুক।সময়টা মে মাসের মাঝামাঝি ঘড়িতে সকাল ৮টা,আরবপুর মোড়ে কলেজ বাসের জন্য অপেক্ষায়। বাস আসা মাএ ঝটপট করে বাসে উঠে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হল। মনে সংশয় নিয়ে কলেজের গেট দিয়ে প্রবেশ। কতৃপক্ষের মাইকের শব্দ শুনে তাড়াতারি ক্লাসে ঢুকে পড়া।

কলেজের প্রথম ক্লাসেই বন্ধুত্ব হয় প্রিন্স নামের একটি ছেলের সাথে। মনে-মনে অনেক খুশি কলেজের প্রথম দিনে নতুন বন্ধু পাওয়া। অনেক গল্পগুজবের পর কলেজ ক্যাম্পস ঘুরে বাসায় ফিরল। দুপুরে খাওয়া শেষে, কোচিং এ যেয়ে দেখলো স্যার নেই। এনামুল হক বাইলোজির স্যার যাকে এক নামে সবাই বস্ বলে ডাকে। বস্ না থাকাতে সবাই কোচিং এর মাঠে ঘুরাঘুরি করছে। হঠাৎ একটি ছেলে এসে নজীবকে বলল,বস্ কি আছে ? নজীব বলল না। ছেলেটির নাম খালিদ উচ্চতায় ৫.১১” হবে,পরনে কাবলি মাথায় টুপি। খালিদ বলল স্যার কোথায় আছে আমি জানি। আমার সাইকেলের পিছনে ওঠো। নজীব কোন কিছু না ভেবে সাইকেলে উঠে পড়ল। খালিদ একটি চায়ের দোকানে সাইকেল থামালো…………দুজনে দেখল বস্ জ্বলন্ত সিগারেট হাতে বসে আছে। দুজনকে দেখা মাএ বস্ সিগারেটি হাত থেকে ফেলে দিল। খালিদ বলল বস্ আজ কি পড়াবেন ? বস্ বলল তোরা যা আমি আসছি। কোচিং শেষে নজীব আরো খুশি ছিল কারন সে নতুন আর একটি বন্ধু পেয়েছে। পড়া শেষে মিরাজের চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরল।

কলেজের ২য় দিন ক্লাস শেষে কলেজ ক্যান্টিনে বসে নজীব,খালিদ,প্রিন্স এর আরো অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হল। আড্ডার ফাকে সিদ্ধান্ত হল টিকেন স্যারের বাসা্‌ই রসায়ন পড়তে যাবে। যে চিন্তা সেই কাজ, বিকেলেই দল বেধে পড়তে যাওয়া। পড়া শেষ করে সবাই যখন চলে যাচ্ছে, ঠিক তখন নজীবের চোখ পড়ে একটি রিক্সার দিকে…….. অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছিল মাথার উপর টনটনে রোদ আর তার শীতল হরিণী চোখ। হঠাৎ খালিদ ডেকে উঠল কিরে কি দেখিস যাবিনা? নজীব কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল চল যাওয়া যাক। মিরাজের চায়ের দোকানে বসে,খালিদ প্রশ্ন করলো কি দেখছিলি তখন? নজীব বলল কই কিছু নাতো। খালিদ বলল, নাটক করিসনা বল। নজীব কথা ঘুরিয়ে বলল সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাসায় চল। খালিদ নাছোরবান্দা। নজীব বলল তাহলে শোন তখন রিক্সায় একটি মেয়েকে দেখছিলাম মেয়েটা সত্যিই খুব সুন্দরী। এরপর সবাই বাসায় ফিরে গেলো।

পরের দিন কলেজে ঢুকতেই মেয়েটি আবার নজীবের চোখে পড়ে। নজীব সাথে সাথে খালিদকে ডেকে বলল এই দেখ সেই মেয়েটি। খালিদ বলল আসলেই মেয়েটি খুব সুন্দরী্।খালিদ পাশে প্রিন্সকে দেখে বলল মেয়েটিকে চিনিস্ সে বলল, মেয়েটিতো আমাদের সেকশনে পড়ে। খালিদ বলল,প্রিন্স একটু details জানাস্, প্রিন্স বলল ঠিক আছে। বিকেলে প্রিন্স নজীবকে phone করল। দোস্ত মেয়েটির নাম সানজিদা,মোবাইল নম্বর পেয়েছি। তবে তোর এখন কথা বলার দরকার নাই,আগে আমি কথা বলে দেখি। নজীব বলল ঠিক আছে। প্রিন্স তখন সানজিদাকে phone দিল। সানজিদার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে দেখল, সম্পকে সানজিদা প্রিন্সের relative.কথার প্রসঙ্গে প্রিন্স সানজিদাকে জানালো নজীবের কথা। সানজিদা বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিল। এরপর্ কথা শেষ করে প্রিন্স নজীবকে phone দিল। প্রিন্স নজীবকে বলল চিন্তা করিস না ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়েদে। নজীব বলল okk….

নজীব খালিদকে phone দিয়ে বিষয়টি জানালো। খালিদ বলল,কাল কলেজে যেয়ে কথা হবে। পরদিন কলেজে সানজিদা প্রিন্সকে ডেকে বলল, ছেলেটি কে দেখাতো? প্রিন্স বলল, ওই যে চশমা পড়া ছেলেটা। সানজিদা তখন তার বান্ধবীদের দেখালো। নজীব তখন খেয়াল করল যে তার দিকে তাকিয়ে তারা হাসাহাসি করছে।নজীব ব্যাপারটা বুঝতে পারলো। এরপর কলেজ থেকে বাসায় ফিরে প্রিন্সকে phone দিয়ে সানজিদার নম্বরটি নিয়ে সানজিদাকে ফোন দিল। নজীব সানজিদাকে পরিচয় দিল সানজিদাও স্বাভাবিক ভাবে কথা বলল। কথার প্রসঙ্গে নজীব জানতে পারলো মিসুক সানজিদার বন্ধু। মিসুক আবার নজীবের স্কুলের বন্ধু। সানজিদার কাছে মিসুক বলেছে,নজীব ছেলেটি সুবিধার না,তুমি যেন অর সাথে কথা বলোনা। এই কথাটি নজীব negatively নেই। কথাটি নজীব খালিদকে জানায়। খালিদ বলল মিসুকের একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। চল এক জায়গায় যায় নজীব বলল কোথায় খালিদ বলল আমার একটা বন্ধু আছে ও এটার সমাধান করতে পারবে আগে চলতো….

শংকরপুর নামে একটা এলাকায় যেয়ে আলামিনকে খুজে বের করে। আলামিনকে নজীবের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ব্যাপারটি খুলে বলে, আলামিন বলে চিন্তার কোন কারন নাই কাল বিকালে ওর ব্যবস্থা করছি ওকে কই পাওয়া যাবে,খালিদ বলল ও বিকালে টিকেন স্যারের বাসায় পরতে যাবে, আলামিন বলল ঠিক আছে।

পরের দিন বিকালে আলামিন আর আলামিনের বন্ধু হানিফ কোচিং এর সামনে হাজির হল। নজীবের এক বন্ধু মিসুককে দুর থেকে চিনিয়ে দিল। মিসুক সহ প্রায় ৮/১০ জনের সাথে হেটে আসছিল। আলামিন কোন কথা না বলে মিসুককে উত্তমমধ্যম দেওয়া শুরু করল বাকিরা সব দৌড়ে পালালো মিসুকও কোন মতে দৌড়ে পালালো। পরে আলামিন সহ নজীব খালিদ সবাই মিরাজের চায়ের দোকানে উপস্থিত হল। ততক্ষণে,প্রিন্স সানজিদাকে phone করে ঘটনাটি জানালো। সানজিদার তখন নজীবের প্রতি একটা রাগ জন্ম নিল।

পরের দিন কলেজে এই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেল নজীব জানতে পারলো প্রিন্স সানজিদাকে উল্টাপাল্টা বুঝায়ছে। নজীব খালিদকে জানালো। খালিদ বলল প্রিন্সকে আর কিছু বলা যাবে না। কিন্তু তার আগে তোকে প্রিন্সের বান্ধবি মারজানার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। খালিদের কথা মত নজীব তাই করলো। এবং প্রিন্সকে avoid করা শুরু করলো।

মারজানা সানজিদাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু সানজিদা মারজানার কোন কথা না শুনে বলল তুমিই প্রিন্সকে আমার নম্বর দিয়েছো এটা কি তোমার উচিৎ হয়েছে। একটা মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়ের অনুমতি ছাড়াই কিভাবে একটা ছেলেকে নম্বর দিলে।তুমি একটা idiot মারজানা রাগ করে ফোন রেখে দিল। নজীব ফোন দিলে মারজানা নজীবকে বকাবকি করে। নজীব নিরাশ হয়ে phone রেখে দেয়। পরের দিন সকালে মারজানা নজীবকে phone দিয়ে sorry বলে। এরপর থেকে নজীব আর মারজানার দিনের পর দিন স্বাভাবিক ভাবে কথা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে মারজানা নজীবকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু সে সানজিদার বিষয়টি আড়াল রেখে নজীবের সাথে কথা বলতে থাকে নজীব ব্যাপারটি বুঝতে পারে কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। কারণ মারজানা ততদিনে নজীবের বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তলে। সুতরাং নজীব সানজিদার বিষয়ে আর কারো সহযোগিতা পায় না। নজীব কিছু দিন একা একা চলা ফেরা করছে। এর ভিতরে একদিন আলামিনের সাথে দেখা হল্ আলামিন সানজিদার কথা জিজ্গাসা করল নজীব সব কিছু আলামিনের সাথে share করলো। আলামিন নজীবকে বলল চিন্তা করিস না ব্যাপারটা আমি দেখছি। আলামিন রেজাল্ট খারাপ হওয়াতে নজীবদের এক ব্যাচ্ নিচে শাহিনে ভর্তি হল। এর আগে মাঝে মাঝে নজীব,খালিদ, আলামিনের সাথে মারজানার conference এ কথা বলতো। আলামিন মারজানাকে sister বলে ডাকতো।

কলেজে আলামিন সানজিদাকে দেখতে চাইলে নজীবের বন্ধু সোহান বলল চল আমি দেখাচ্ছি। আলামিনকে সোহান সানজিদাকে দেখালো। আলামিন্ দেখে নজীবকে বলল ওর নম্বরটা আমাকে দে….নজীব সানজিদার নম্বরটা আলামিনকে দিল।

সন্ধ্যা ৭টা আলামিন সানজিদাকে ছোট ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে phone দিল। আলামিন বললো আপু আপনাকে আমার একটা আপুর মত লাগে আমিকি আপনাকে sister বলে ডাকতে পরি ? বাসায় guest থাকায় সানজিদা আলামিনকে বলল ভাইয়া আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো।

অতঃপর আলামিন ফোন রেখে দিল। তারপর রাত যখন ১০টা তখন আলামিন আবার সানজিদাকে ফোন দিল। সানজিদা ফোন ধরেই বলল কে ? আপু আমি আপনার ছোট ভাই আলামিন। ও তুমি হ্যা বলল কি বলছিলে। তার আগে আপনি আমাকে বড় আপু ডাকার অনুমতি দেন। সানজিদা বলল যেহেতু আমি তোমার বড় তাছাড়া আমি তোমার বড় আপুর মত দেখতে তখন আর অনুমতির দরকার আছে নাকি। আচ্ছা আজ থেকে তুমি আমার ছোট ভাই। আলামিন এ কথা শোনার পর মস্ত খুশি হল। নজীবের মনে একটু সাহস আসলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো এখন যদি কিছু হয়। আলামিন আর নজীব plan করল সানজিদার কাছে কিভাবে নজীবের কথা বলা যায়।

অনেক দিন ধরে আলামিন সানজিদার সাথে কথা বলছে কিন্তু নজীবের কথাটা কিছুতেই বলতে পারছে না। হঠাৎ সানজিদা বলল তুই নজীব ছেলেটাকে কিভাবে চিনিস ? আলামিন থতমত হয়ে বলল কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন ? সানজিদা বলল না আজ পরতে যাওয়ার সময় তোদেরকে এক সাথে দেখলাম তাই। আলামিন ও এবার সুযোগ পেয়ে গেল আর ভাবলো এবার নজীবের কথা বলার পরিপূন্য সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবে না। এবং আলামিন বলল নজীবতো আমার close friend.সানজিদা বলল এতদিনতো কিছু বললিনা ? আলামিন বলল আসলে বলার মত কোন সুযোগ পাইনি।

সানজিদা বলল তুই কি জানিস নজীব আমাকে প্রিন্সকে দিয়ে propose করছে? আলামিন বলল হা জানি। সানজিদা বলল ছেলেটি বেশি সুবিধার না.আলামিন বলল কেন ? সানজিদা এক এক করে সব কিছু বলল। আলামিন বলল এই সমস্ত কথা তোকে কে বলছে প্রিন্স,মিসুক? সানজিদা বলল হ্যা.আলামিন তখন সানজিদার সব ভুল ধারনা ভেঙ্গে দিল। সানজিদা বলল আমি ওকে অনেক খারাপ ভাবছিলাম আমার কি নজীবকে ফোন দেওয়া উচিৎ? আলামিন বলল হ্যা অবশ্যই দেওয়া উচিৎ। সানজিদা তখন বলল আমি হঠাৎ করে ফোন দিয়ে কি বলবো? তাছাড়া আমার ফোন দিতে লজ্জা লাগতেছে। আলামিন বলল শোন নজীবের কাছে তোর একটা ছবি আছে যেটা ও ম্যানিব্যাগে রাখছে। সানজিদা বলল কি? দাড়া আমি এখনি ওকে ফোন দিচ্ছি।

সানজিদা নজীবকে ফোন দিল আর কথা ১ ঘন্টা যাবৎ চলতে থাকলো। কথা শেষ হবার পর নজীব আর
আলামিন আনন্দ উল্লাস করতে লাগল। নজীব কিছুণের জন্য ভুলে গেল তার সব কষ্ট । এদিকে মারজানা খালিদ মিলে নতুন নীলনকশা রচনা করেছে। হঠাৎ একদিন সানজিদার কাছে একটি sms আসল…”সানজিদা তুমি ভুল করছো নজীবের সাথে মারজানার সম্পর্ক আছে সুতরাং তুমি ওদের মাঝে দেওয়াল হয়ে দাড়িয়ো না”সানজিদা সাথে সাথে আলামিনকে ফোন দিল আর সব ঘটনা বলল। এরপর আলামিন নজীবকে ফোন দিয়ে জানাল। নজীব রাতে সানজিদাকে ফোন দিল তখন সানজিদা নজীবকে বলল আমি তোমাদের দুজনের ভিতর দেওয়াল হতে চায় না তুমি মারজানার সাথে সর্ম্পক রাখো। নজীব বুঝালো মারজানার সাথে আমার কোন সম্পক নেই,সানজিদা কথা না বলেই ফোন রেখে দিল। পরের দিন মারজানার এক বান্ধবী সারজানা,সানজিদাকে ডেকে বলল আলামিন তোমার সাথে নজীবের জন্য কথা বলে সানজিদা অনেক রেগে গেল। সারজানা ও সানজিদাকে আলামিন একসাথে দেখতে পেয়ে তাদের দিকে যেতে লাগলো ঠিক ওই সময় মারজানা আলামিনকে বলল ভাই তুমি ওদিকে যেওনা সানজিদা তোমার বিষয়টা জেনে গেছে। আলামিন তখন ওখান থেকে কেটে পড়লো।

সানজিদা কলেজ থেকে ফিরেই আলামিনকে ফোন দিল। আর বলল তুই নজীবের জন্য আমার সাথে কথা বলিস? আলামিন বলল না। নজীবের কথাতো আমি কখনো তোকে আগে বলিনি তুই বলছিলি বিধায় আমি ওর কথা বলছি। সন্ধার সময় মিরাজের চায়ের দোকানে আলামিন ও নজীবের দেখা হল সেখানে সব কিছু নজীবকে জানালো নজীব বিষয়টি শোনার পর খুব হতাশ হল।

নজীব তখন আলামিনকে দুঃখ করে বলতে লাগলো”মাঝে মাঝে মনে হয় আশা নিরাশার খেলা ছেড়ে দিয়ে সামনে দিকে তড়ি ছেড়ে দিয়ে এই ধরনি থেকে হারিয়ে যায়। কিš‘ পারিনা মনে হয় সব কিছুরি শেষ আছে তাই আমিও এর শেষ দেখতে চায়। এরপর থেকে সানজিদার সাথে কথা হলে আলামিন নজীবের প্রসঙ্গ নিযে কোন কথা বলতো না।

একদিন আলামিন মারজানার কান্নায় প্রভাবিত হয়ে বুঝতে পারল যে সানজিদার সাথে নজীবের সম্পক হতে দেওয়া যাবে না। তাই হঠাৎ একদিন সন্ধায় আলামিন সানজিদাকে ফোন দিল আর বলল যে সারজানা তোকে যেটা বলছিলো ওটা পুরটাই সত্য ছিল আমি নজীবের জন্যই তোর সাথে কথা বলতাম। আর আমি যখন তোর সাথে কথা বলতাম তখন নজীব মাঝে মাঝে conference এ থাকতো। একথা শুনে সানজিদা কাদতে লাগলো আর বলল আমার মনটা পাথর না এই বলে ফোন রেখে দিল।

এরপর থেকে খালিদ,নজীব,সানজিদা.মারজানা ও আলামিন সবাই বিচ্ছিন্ন কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করে না।

এখন সবাই ঢাকা, পড়াশুনা করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে সবাই বিশ্বাস করে একদিন নজীব সানজিদার মিল হবে শুধু মাএ সেই সময়ের অপেক্ষায়…………………………………..

লিখেছেন-
রাহিতুল ইসলাম রুয়েল, ঢাকা।
rahitulislam@gmail.com



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মেডিকেল প্রফেশনালদের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড চালু
দেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইংরেজি শেখার অ্যাপ ‘পারলো’
৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা-২০২৪
২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু