বুধবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আইটিসি লাইসেন্স পেল ছয় প্রতিষ্ঠান
আইটিসি লাইসেন্স পেল ছয় প্রতিষ্ঠান
ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেব্ল্ বা আইটিসি লাইসেন্স পেল দেশের ছয়টি বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১, মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ লাইসেন্স দেয়। এর ফলে দেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবলের উপর নির্ভরতা কমবে। এ কেবলের সংযোগ বিঘি্নত হলে আইটিসি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। একই সঙ্গে দেশে ইন্টারনেট-সেবা সাশ্রয়ী হবে ও ব্যান্ডউইড্থ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স পেয়েছে তাদের প্রায় সবাই সাবমেরিন কেব্ল্ রয়েছে_এমন ভারতীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
সূত্রে জানা যায়, ফাইবার অ্যাট হোম, সামিট টেলিকমিউনিকেশন্স, নভোকম, বিডি লিংক কমিউনিকেশন্স, ম্যাংগো ও এশিয়াটেলকে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসির মাধ্যমে গত ৩১ মার্চ এ লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এ লাইসেন্স দেওয়া হবে। পরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল ৯টি প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি সম্পর্কে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতরাতে কালের কণ্ঠকে টেলিফোনে জানান, বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়বে, বেশি ব্যান্ডউইড্থ আসবে এবং এর সুফল ভোগ করবে দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকরা। ইন্টারনেট সেবার চার্জও কমবে।
জিয়া আহমেদ বলেন, শুধু ভারত থেকে নয়, লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো দেশ থেকে টেরেস্ট্রিয়াল কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইড্থ আনতে পারবে।
সূত্র জানায়, আইটিসি লাইসেন্সের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এককালীন দুই কোটি টাকা, প্রতিবছর ৫০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী গত রাতে টেলিফোনে বলেন, ‘আমরা এখনো আইটিসি লাইসেন্সের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি। তবে শুনেছি তালিকায় আমাদের কম্পানির নাম আছে।’
মঈনুল হক সিদ্দিকী এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ফাইবার অ্যাট হোম ভারতের রিলায়েন্স কম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করবে। নিজেদের অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক থাকাতে খুব দ্রুত এ কাজে সফল হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।