সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » কাল সারা রাত ভেবেও
কাল সারা রাত ভেবেও
প্রিয়তম,কাল সারা রাত ভেবেও স্তির করতে পারলাম না যে তোমাই কি বলে
সম্বোধন করি। তোমার আসল নামতো বলা সম্ভব না। প্রথমে কবি সাহিত্যিকদের উপর
বেশ রাগ হল। কারন কোন প্রিয়সম্বোধনই তারা বাদ রাখেননি। নতুন কিছু বলে যে
ডাকব তার উপায় নাই। কিছু না পেয়ে শেষে প্রিয়তমই বলে ডাকলাম। এ হীনতাতো
আমারই, আমার মাঝে কবিত্ব বলতে কিছুই নাই। তাই নিরস্ত হতে হল।
হৃদয়ে মোর অনেক কথা, প্রিয়,বলা হয় না।সেগুল বনের বুন পুস্পের মত,কেউ
দেখেনা। মোর হূদয়ের কথাকলী হৃদয়ে ফোঁটে হূদয়েই শুকায়। তাদের সুষমা-সৌরভ
যে তোমার মনমন্দিরে পৌছে দেব সে সাধ্য আমার নাই। ভাব প্রকাশের দক্ষতা
আমার এমনই বেশি।
তবে আজ বলব। জানা নাজানা অনেক কথাই।তবে মুসকিল কি জান, বরাদ্দ মাত্র
পাঁচশ শব্দ, কতৃপক্ষের নিন্দা করিনা, পাঁচ হাজার শব্দ দিলেও যে আমার মন
ভরত না তাতে সন্দেহ কি!
তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি। চার অক্ষরের এই শব্দটি জান, আগে আমার কাছে খুব
সোজা মনে হত। আজ এটার গুরুত্ব মহত্ব একেবারে পালটে গেছে। কবে থেকে জান,
যেদিন আমি অপেক্ষা করছিলাম নদীর ধারে, তখন পড়ন্ত বিকেল, বুক ভরা সংশয়
নিয়ে তুমি এসে দাড়ালে, বল্লে মৃদু স্ব্ররে, কি বলবে। তখন চার অক্ষরের ঐ
শব্দটা আর বেরুতেই চাইলনা, হাত পা লাগল কাঁপতে,শেষে মরিয়া হয়ে বলে উঠলাম,
সোজাসুজি, “ভালবাসি।”
পলকেই তমার মুখ হয়ে উঠল রাঙা। রাঙা আলোয় ঐ রাঙা মুখ আমি আজও ভুলিনি। মনের
দেয়ালে সেটা বাঁধাই করা ছবির মতই সযত্নে রক্ষিত আছে। তারপর যে যার দিকে
চলে গেলাম তবে ‘ ভালবাসি’ শব্দটির ওজন ষোল আনাই বুঝে গেলাম।
সেই ত শুরূ।
অত ঘন দেখা হয় না বলে আগে অনেক রাগ হত। কত রাত যে অনিদ্রাই গেছে তার
হিসেব নেই। খাওয়া-দাওয়া ভাল লাগত না, লেখাপড়াতো চুলোই গেল। কেবল তোমার
দর্শনে সুখ, তোমার ভাবনাই আনন্দ। আজ সামলে নিয়েছি অনেকটা। তবে এতে
কৃতিত্ব চৌদ্দ আনাই তোমার। নব প্রনয়ের অঙ্কুর-অঙ্কুরিত হয়ে আবেগের সারে
যখন অবৈধ ভাবে বাড়ছিল তখন তুমি তাকে সংযত করলে। আজ তা ডাল পালা মেলে
হৃদয়ে বদ্ধমূল,উপড়ে পড়ার ভয় নেই। আমার জীবনটা যদি একটা গান হয় তবে তুমি
তার সুর,তোমার ভালবাসা তাতে ছন্দ। আমারা ভালবাসার সমুদ্রে তুমি সৈকতের মত
ঘিরে আছ চার পাশ হতে। আমার ভালবাসা তোমার ভালবাসায় পেয়েছে পূর্নতা ।
সামনেতো ভালবাসা দীবস, আসনা একবার। সেই নদীর ধারে। সেই পড়ন্ত
বিকেলে,দিনের বিদায়-নিশারম্ভের সন্ধিক্ষনে। দীনদেব রক্তবর্ণ, ওপারে
আম-বাগানের মাথার উপর দিয়ে যাবেন ধীরে ধীরে। তুমি আসবে লজ্জাবনত মুখে, আর
আমি অপেক্ষা করব দূ্রু দুরু বুকে।
শুনলাম তোমার বাবা হাল্কা অসুস্থতার কারনে ঢাকা থেকে আসেননি। খুসির কথা,
খুসি তার অসুস্থতার জন্য নয়, তিনি আসেননি তাই। আসনা একবার। দেউলিয়াতো
কবেই হয়েছি, প্রানেশ্বরী দেখা দাও না একবার।
আশা আছে বলব অনেক কথা, আজও যা হলনা বলা।
লিখেছেন- মোঃ আল- এমরান
চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী