বৃহস্পতিবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » যশোর দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর
যশোর দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর
০৬ ফেব্রুয়ারি যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাহ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো যশোর ২০১৩’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সাত্তার।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যশোর শাখার আয়োজনে ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এর সহযোগিতায় থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সাত্তার বলেন বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তির এই উকর্ষ সাধনের যুগে আমাদের দেশ তথা যশোরের মতো প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় অঞ্চলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বত্র ডিজিটাল আবহ তৈরীর উদ্যোগকে আমাদের স্বাগত জানাতেই হবে, সাধুবাদ দিতেই হবে। কেননা এ ধরনের প্রদর্শনী নিত্য প্রযুক্তি পণ্যের সাথে আমাদের পরিচয় সাধনের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি উন্মুখ করতে সহযোগিতা করে। বর্তমান সরকারের ভিশন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশেরই একটি মঞ্চায়ন হচ্ছে আজকের এই প্রদর্শনী। বিসিএস যশোর শাখার ধারাবাহিক এই আয়োজন আামদের যেমন অনুপ্রাণিত করে তেমনি কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমার বিশ্বাস যশোরের জনমানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সচেতন করে তুলতে এই আয়োজন নি:সন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্ববহ হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, যশোর শাখার সেক্রেটারী জনাব পার্থ প্রতিম দেবনাথ রতির পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, যশোর শাখার চেয়ারম্যান জনাব সঞ্জয় কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর পৌরসভার মেয়র জনাব মারুফুল ইসলাম মারুফ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক জনাব মোস্তাফা জব্বার, সমিতির পরিচালক জনাব মজিবুর রহমান স্বপন এবং প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও বিসিএস এর পরিচালক জনাব এ.টি. শফিক উদ্দিন আহমেদ। যশোরের জেলা প্রশাসক বলেন, যশোর বর্তমান সরকারের প্রথম ডিজিটাল শহর, সে মতে যশোরে বেসরকারি ও সরকারি উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজন নি:সন্দেহে অনুপ্রেরণার, আশাপ্রদ। তথ্যপ্রযুক্তির এই বর্ণিল প্রদর্শনির নানান আয়োজনের কাছে টানবে যশোরের প্রযুক্তিপ্রেমীদের তথা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারে সেই সাথে তরুণ প্রজন্মকে আগ্রহী করে তুলবে নিত্যনতুন প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি। যশোর পৌরসভার মেয়র বলেন দেশব্যাপী ডিজিটালাইজেশনের অংশ যশোর পৌরবাসীকে ইতোমধ্যে অনেক সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে এমনকি সকলের জন্য ইন্টারনেট সেবা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পৌরসভা এলাকাকে করা হয়েছে আনা হয়েছে ওয়াইফাই জোনের আওতায়। জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন বিসিএস দেশে সর্র্বপ্রথম প্রযুক্তির প্রর্দশনীর সূচনার পাশাপাশি প্রদর্শনীগুলোকে ঢাকার বাইরে বিস্তৃত এবং ধারাবহিকভাবে আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে উদ্যোগের ফসল হচ্ছে আজকের প্রর্দশনী। যশোরের এই আয়োজন এখানকার প্রযুক্তিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হবে বলে আমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর প্রতিনিধি কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের পরিচালক জনাব এ. ইউ.খান জুয়েল এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, যশোর শাখা কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব দীনেশ মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর শাখা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিসিএসের বিভিন্ন শাখা কমিটির সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপই মেলা সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এ সময়ে মেলা প্রাঙ্গন মুখরিত হয় বিভিন্ন বয়সের মানুষের পদচারণায়। ০৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনার, ০৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় শিশুতোষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশুদের জন্য ফ্রি ভিডিও গেম খেলার সুযোগ, ফ্রি ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কুইজসহ আরও নান্দনিক আয়োজন। মেলার শেষদিন রয়েছে বিক্রিত টিকেটের উপর র্যাফেল ড্র। র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের জন্য পুরষ্কার হিসেবে রয়েছে আধুনিকালের প্রযুক্তিপণ্য।
প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে ফুজিতসু, ফক্সকন এবং নরটন; গোল্ড স্পন্সর হিসেবে থাকছে আসুস এবং ফোর জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লি:, সিলভার স্পন্সর হিসেবে টুইনমস। টিকেট স্পন্সর ওরিয়েন্টাল সার্ভিসেস এভি বিডি লি:, টিকেট কাউন্টার স্পন্সর নরটন, ভলান্টিয়ার ড্রেস স্পন্সর এক্সেল টেকনোলজিস লি:, ইনফরমেশন কাউন্টার স্পন্সর স্মার্ট টেকনোলজিস লি:, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্পন্সর বিজনেসল্যান্ড লিমিটেড এবং সমাপনী অনুষ্ঠান স্পন্সর আর এম সিষ্টেমস লি:।