মঙ্গলবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আইটিসি লাইসেন্স প্রদানে শুরুতেই জটিলতা
আইটিসি লাইসেন্স প্রদানে শুরুতেই জটিলতা
ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল (আইটিসি) লাইসেন্স প্রদানে শুরুতেই দেখা দিয়েছে জটিলতা ও অনিশ্চয়তা। জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য শুধু একটি সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভরশীল, যা প্রায়ই বিচ্ছিন্ন থাকায় দেশের টেলিযোগাযোগ খাত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ কারণে আইটিসি লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার, যাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটররা টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতের টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে পারে।
লাইসেন্স দেয়ার লক্ষ্যে সরকার গত ৩১ মার্চ লাইসেন্সিং গাইডলাইনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। গাইডলাইন প্রকাশের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নয়টি কোম্পানি ওই লাইসেন্স নেয়ার জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে। প্রকাশিত গাইডলাইনে একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ আছে, যারা গাইডলাইনে নির্ধারিত নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের ক্রম তৈরি করে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করবে। লাইসেন্সিং গাইডলাইনের বিজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ তিনটি লাইসেন্স দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। ওই গাইডলাইনে একইসঙ্গে সরকার এ সংখ্যা হ্রাস করার অধিকার সংরক্ষণ করেন মর্মেও উল্লেখ আছে। সরকার এই লাইসেন্সের সংখ্যা বাড়ানোর কথা কোথাও উল্লেখ করেনি। গাইডলাইন অনুযায়ী বিটিআরসি ২০ সদস্যবিশিষ্ট একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। মূল্যায়ন কমিটি প্রকাশিত গাইডলাইনে নির্ধারিত নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী মূল্যায়ন করে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের ক্রম তৈরি করে লাইসেন্সিং গাইডলাইনের শর্ত অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারকারী আবেদনকারীদের নির্বাচন করে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু সরকারের রাজনৈতিক চাপের মুখে লাইসেন্সিং গাইডলাইনের সব শর্ত ভঙ্গ করে তিনটি লাইসেন্সের স্থলে ৬টি লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে গিয়েই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।