বুধবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সাইবার হামলার আদেশ দিবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
সাইবার হামলার আদেশ দিবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বড় ধরনের ডিজিটাল হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালানোর আদেশ দিতে পারবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি এক গোপন আইনি পর্যালোচনার পর মার্কিন প্রশাসন এ ক্ষমতা দেয় প্রেসিডেন্টকে। খবর এএফপির।
সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সম্ভাব্য হামলা পরিকল্পনা জানার জন্য বিদেশী নেটওয়ার্কগুলোয় নজরদারির পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের আদেশ অনুমোদনসাপেক্ষে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কীভাবে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাবে তা নির্ধারণ করবে এ নতুন নীতি। এমনকি কোনো ঘোষিত যুদ্ধ না থাকলেও সাইবার হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করা হবে নতুন নীতি অনুসারে।
সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলোর সুরক্ষার খাতিরে দীর্ঘমেয়াদে সাইবার নিরাপত্তা বাহিনীকে পাঁচ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই বিভাগের সাইবার কমান্ডের সামরিক-বেসামরিক কর্মীর সংখ্যা ৯০০ থেকে ৪ হাজার ৯০০-এ উন্নীত করা হবে।
গত নভেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা জানান, মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধিক জনবল ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ সাইবার হামলার মুখোমুখি হয়েছে বেশকিছু কোম্পানি। এমনকি মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থায়ও একাধিকবার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ভাইরাসনির্ভর ভয়াবহ এক সাইবার হামলায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি তেল কোম্পানির ৩০ হাজার কম্পিউটার অচল হয়ে যায়।
টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন নীতি প্রণয়নে প্রশাসনকে অংশগ্রহণ করানোয় মুখ্য ভূমিকা রাখেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) হবু প্রধান জন ব্রেনান। তবে ওবামা এর আগে মাত্র একবারই সাইবার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। টাইমস জানায়, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা অচল করে দিতে অব্যাহত সাইবার হামলা আদেশ দিয়েছিলেন তিনি। ওই আক্রমণের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অলিম্পিক গেমস’। জর্জ বুশের আমলেই পেন্টাগন এ হামলা শুরু করেছিল।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের ওপর চালানো এ হামলা থেকে দেখা গেছে, বোমা নিক্ষেপ কিংবা সৈন্য না পাঠিয়েই যেকোনো দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করা সম্ভব।
ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সাইবার অস্ত্র পরমাণু অস্ত্রের মতোই ভয়ঙ্কর; সে বিষয়ে পর্যালোচনাকারীরা একমত। সে কারণেই সর্বাধিনায়কের অনুমতি ব্যতিত অস্ত্রটি ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যেকোনো দেশেরই হুমকি থেকে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এ কারণে হুমকি পেলে আক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নীতি অনুযায়ী মার্কিন কোম্পানি কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে চালানো সাধারণ হামলা ঠেকাবে না পেন্টাগন। বিষয়টি মোকাবেলা করবে মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ।