শনিবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » চতুর্থ প্রান্তিকে রেকর্ড বিক্রি অ্যামাজনের
চতুর্থ প্রান্তিকে রেকর্ড বিক্রি অ্যামাজনের
চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১২) বড়দিনের ছুটিতে রেকর্ড ২ হাজার ১২৭ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। কোম্পানিটি জানায়, ছুটির সময় তীব্র প্রতিযোগিতার মাঝেও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা, ভিডিও কনটেন্ট বিক্রি এবং ই-বুকের আগ্রাসী বিপণনের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বিশ্বের শীর্ষ ইন্টারনেটভিত্তিক খুচরা প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, ওয়্যারহাউসের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোক্তাদের কাছাকাছি সরবরাহ কেন্দ্র খোলায় ওয়ালমার্ট এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে কম খরচে পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে তারা। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজসের মতে, তাদের ই-বুক বিভাগটির ব্যবসা এখন কয়েকশ কোটি ডলারের ঘরে পৌঁছে গেছে। গত বছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭০ শতাংশ। প্রচলিত কাগজের বইয়ের ব্যবসা এ সময় বেড়েছে ৫ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘যে পরিবর্তনটা চেয়েছিলাম, সেটি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।’
দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগ, বৃহত্ সরবরাহ কেন্দ্র, কিন্ডেল ফায়ার ট্যাবলেটের হার্ডওয়্যার উত্পাদন কারখানা স্থাপন এবং অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবসা গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের পেছনে গত কয়েক বছরে ব্যাপক অর্থ খরচ করেছে অ্যামাজন। এ কারণে সে সময় কোম্পানিটির মুনাফা অনেক কমে গিয়েছিল।
বিশ্লেষকরা জানান, চতুর্থ প্রান্তিকের মুনাফা দিয়ে অ্যামাজন বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এ ধরনের ব্যয়ের সুফল পেতে শুরু করেছে।
মর্নিংস্টারের ইকুইটি বিশ্লেষক আরজে হটোভি বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের (অ্যামাজনের) পরিচালন মুনাফা ছিল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। এতে বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে অ্যামাজন তাদের প্রবৃদ্ধি থেকে লাভবান হবে।
সিয়াটলভিত্তিক অ্যামাজন জানায়, চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের পরিচালন মুনাফা এক লাফে ৫৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ৫ লাখ ডলারে। ২০১১ সালের একই সময় এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ডলার।
রেকর্ড আয়ের খবরে অ্যামাজনের শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪ ডলার।
কোম্পানিটি জানায়, চতুর্থ প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ২২ শতাংশ। তবে তাদের মুনাফার খবরে ওয়ালস্ট্রিট নড়েচড়ে বসেছে। এভারকোর পার্টনারসের বিশ্লেষক কেন সেনা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও এ মুনাফা অনেক বেশি। মুনাফা আগামীতে আরো বাড়বে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ডলারের ভিত্তিতে সার্বিক মুনাফা আর সেটা উর্ধ্বমুখী।
চতুর্থ প্রান্তিকে সার্বিক মুনাফা ছিল মোট আয়ের ২৪ শতাংশ। ওয়ালস্ট্রিটের ধারণা ছিল, এর হার হতে পারে ২২ শতাংশ।
খুচরা বিক্রেতা হিসেবেই মূলত ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে অ্যামাজন। পাইকারি দরে পণ্য কিনে সেগুলো মজুদ করে কোম্পানিটি। তারপর সামান্য লাভ রেখে অনলাইনে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে তারা।
তবে ধীরে ধীরে ক্লাউড কম্পিউটিং, ডিজিটাল কনটেন্ট এবং ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইন বাজার হওয়ার মতো অধিক লাভজনক ব্যবসাগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে অ্যামাজন।
এই নতুন ব্যবসাসমূহই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে। তাতে খুচরা ব্যবসার চেয়ে বেশি লাভও হচ্ছে কোম্পানিটির। - এসবিবি