শনিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » দেশের সেলফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত
দেশের সেলফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত
৷৷ সুমন আফসার ৷৷
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে দেশের সেলফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে কমিশন।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগে গত বুধবার আগ্রহপত্র (ইওআই) চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিটিআরসি। এতে সেলফোন অপারেটরদের ‘ইনফরমেশন সিস্টেম’ নিরীক্ষা করতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনপত্র বাছাই শেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হবে। ন্যূনতম ১০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে- এমন প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া দেশের কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অবশ্যই সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের। টেলিযোগাযোগ আইনের বিভিন্ন ধারা, বিটিআরসি বা সরকারের নীতিমালা, নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে দেখবে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি তথ্য ও প্রকৃত আমদানি এবং অপারেটরদের আয়ের তথ্য যাচাই করা হবে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, টেলিটক ছাড়া দেশের অন্য সব অপারেটরেরই আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা দিচ্ছে। সেসব দেশেও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে। আর এসব বিষয় বিবেচনা করে দেশেও অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, অপারেটরদের এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ‘টেলিকম অডিট প্রসিডিউর’ নামে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এ নীতিমালা নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। ফলে এসব তথ্য অপারেটরদের নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিটিআরসি। শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই বাংলালিংকের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি। পরে এ কাজে নিয়োগ দেয়া হয় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে।
অন্যদিকে একই বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফজল অ্যান্ড কোম্পানি নামের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ নিরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রামীণফোনের কাছে ৩ হাজার ৩৪ কোটি ১১ লাখ ৫৮১ টাকা চেয়ে চিঠি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে এ নিরীক্ষা পরিচালনাকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠান ফজল অ্যান্ড কোম্পানির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা প্রক্রিয়া ক্রটিপূর্ণ বলে এক বিবৃতিতে দাবি করে দেশের শীর্ষ এ সেলফোন অপারেটর। প্রতিষ্ঠানটি বিটিআরসির দেয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতে আদালতে যায়। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর বিটিআরসির দেয়া এ চিঠির কার্যকারিতার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। -এসবিবি