বৃহস্পতিবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য ফি জমা দেয়ার নির্দেশ
ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য ফি জমা দেয়ার নির্দেশ
রাজস্ব ক্ষতি কমাতে ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার (ভিএসপি) লাইসেন্সের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানকে এ লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতকাল বুধবার লাইসেন্স ফি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দেশের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি জমা দেয়ার পরই লাইসেন্স হস্তান্তর করা হবে।
ভিএসপি নীতিমালা অনুযায়ী, ৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স নবায়ন ফি ১ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের জন্য এ লাইসেন্স দেয়া হবে। এরপর প্রতি দুই বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে।
বিটিআরসির গতকালের নির্দেশে বলা হয়, নীতিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ফি হিসেবে ৫ লাখ এবং এর সঙ্গে আরো ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। ফি জমা দেয়ার পরই লাইসেন্স হস্তান্তর করা হবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন দেশে বৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক ফোন কলের সংখ্যা গড়ে চার কোটি মিনিট। এর বাইরে আরো এক থেকে দুই কোটি মিনিট কল অবৈধ পথে আসছে। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অবৈধভাবে কল টার্মিনেশন বন্ধ ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কমাতে ভিএসপি লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলে ৩ দশমিক ৪৫ সেন্ট করে দেশে আসে।
গত বছরের ২২ জুলাই ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৫০৯টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদন যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে গত ৩১ অক্টোবর ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে কমিটিতে আরো তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূল্যায়ন কমিটি তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে এ কাজ শেষ করে। যেসব প্রতিষ্ঠান আবেদনের সঙ্গে ভিএসপি নীতিমালায় উল্লেখ থাকা কাগজপত্র জমা দেয়নি, তাদের আবেদন অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করে কমিটি। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার কৌশলকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে করা এ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ নম্বর রাখা হয়েছিল বাজার কৌশলের ক্ষেত্রে। ১ জানুয়ারি মূল্যায়ন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্সের জন্য চূড়ান্ত করা ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানের এ তালিকা গতকালই বিটিআরসিতে পাঠানো হয়েছে। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সর্বনিম্ন ২৫ এবং সর্বোচ্চ ৯০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে তালিকায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বিটিসিএলসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স দেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার (ভিএসপি) হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের পরিমাণ সপ্তাহ শেষে বিটিআরসিতে জমা দেয়। তবে বিভিন্নভাবে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার ঘটনা ঘটছে।