মঙ্গলবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত
ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত
ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার (ভিএসপি) লাইসেন্সের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করেছে। গতকাল সোমবার এ তালিকা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো হয়েছে। বিটিআরসি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২২ জুলাই ভিএসপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসি। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ আবেদন গ্রহণ করা হয়। লাইসেন্স নিতে এক হাজার ৫০৯টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদন যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজার কৌশলকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে করা এ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ৩০ নম্বর রাখা হয়েছিল বাজার কৌশলের ক্ষেত্রে। ১ জানুয়ারি মূল্যায়ন শেষ করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সর্বনিম্ন ২৫ এবং সর্বোচ্চ ৯০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে তালিকায় রাখা হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, মূল্যায়ন শেষে বিটিআরসির দেয়া তালিকা অনুযায়ী এ লাইসেন্সের সংখ্যা চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। লাইুসেন্স দেয়ার কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জমা পড়া লাইসেন্স যাচাই-বাছাইকালে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক আবেদন পাওয়া গেছে। সঙ্গত কারণে এগুলো বাদ পড়েছে। প্রায় দেড় হাজার আবেদনই মূল্যায়ন শেষে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ক্রমানুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ভিএসপি নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স নিতে ৫ লাখ টাকা ফি দিতে হবে। আর বার্ষিক লাইসেন্স নবায়নে বার্ষিক ফি ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা। লাইসেন্স দেয়া হবে পাঁচ বছরের জন্য। এরপর প্রতি দুই বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে জমা দিতে হবে।
২০০৮ সালে বিটিসিএলসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স দেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ভিএসপি হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের পরিমাণ সপ্তাহ শেষে বিটিআরসিতে জমা দিয়ে থাকে। তবে বিভিন্নভাবে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার ঘটনা ঘটছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের এপ্রিলে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল সার্ভিস প্রোভাইডারস নীতিমালা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত নীতিমালায় বিটিআরসির সঙ্গে ভিএসপি প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ভাগাভাগির হার কমিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে আলাদাভাবে ভিএসপি লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে অবৈধ ভিওআইপির বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এ-সংক্রান্ত কাজ শেষ করেছে মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহে এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে এ নীতিমালার বেশকিছু ধারার সংশোধনে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল বিটিআরসি।