মঙ্গলবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » কেনিয়ায় বন্যপ্রাণী শিকার ঠেকাতে টেক্সট মেসেজ অ্যালার্ট চালু
কেনিয়ায় বন্যপ্রাণী শিকার ঠেকাতে টেক্সট মেসেজ অ্যালার্ট চালু
অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ঠেকাতে টেক্সট মেসেজভিত্তিক অ্যালার্ট পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে কেনিয়া। এর মাধ্যমে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বনরক্ষীদের সহজেই সতর্ক করা যাবে। দেশটির বন্যপ্রাণী সংস্থার মতে, এ ধরনের সতর্কসংকেত চালু করা গেলে চোরা শিকার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে। খবর গার্ডিয়ানের।
গত সপ্তাহে দেশটিতে চোরা শিকারিরা ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি হাতি পরিবারকে গুলি করে হত্যা করে। এর পর পরই এ ধরনের ভয়াবহ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়ার বিষয়টি আমলে নেয় নাইরোবি।
কেনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের (কেডব্লিউএস) নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, উদ্যান ও অভয়ারণ্যগুলোর বেড়ায় এ ধরনের যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হবে। তাতে চোরা শিকারের সংখ্যা
৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে।
কোনো প্রাণী বা ব্যক্তি যখন এ বেড়া টপকাতে চেষ্টা করবে, তখন যন্ত্রগুলো বিকট আওয়াজ করার পাশাপাশি বনরক্ষীদের কাছে অনুপ্রবেশের স্থান জানিয়ে টেক্সট মেসেজ পাঠাবে। তাতে তাত্ক্ষণিকভাবে ওই এলাকায় বনরক্ষীদের পাঠানো সম্ভব হবে।
তবে কেডব্লিউএসের প্রজাতি শাখার প্রধান প্যাট্রিক ওমন্দি মনে করেন, সব উদ্যান ও অভয়ারণ্যে এ সতর্ক করণ পদ্ধতি স্থাপন করা সম্ভব হবে না। কারণ অনেক জায়গায়ই বেড়া নেই এবং এ ধরনের প্রযুক্তি স্থাপনের ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা কেনিয়ার মতো গরিব দেশের জন্য বহন করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
ওমন্দি বলেন, কিছু পার্ক অনেক বড়। এ ধরনের প্রযুক্তি কেবল ছোট অভয়ারণ্যেই কাজ করতে পারবে।
সম্প্রতি হাতি নিধনের ঘটনাটি ঘটে সাভো ন্যাশনাল পার্কে; যা আয়তনে বেলজিয়ামের প্রায় সমান। কেডব্লিউএসের যোগাযোগ কর্মকর্তা পল উদোতো জানান, চোরা শিকারিদের চেয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতেই বন্যপ্রাণী বেশি মারা পড়ে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় অনেক আগে থেকেই সৌরবিদ্যুত্চালিত বেড়া স্থাপন করা হয়েছে।
ওমন্দি অবশ্য জানান, ভবিষ্যতে চোরা শিকার ঠেকাতে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ডিএনএ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি নিয়ে আসে কেনিয়া। গণ্ডারের ডিএনএ সূচক নামের এ পদ্ধতি দিয়ে বিশ্বের যেকোনো স্থানে আটক গণ্ডারের আবাসস্থল জানা যাবে। হাতি ও গণ্ডার চোরা শিকার ঠেকাতে গত ডিসেম্বরে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলকে ( ডব্লিউডব্লিউএফ) মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজ (ড্রোন) দেয় গুগল।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চাহিদা মেটাতে গত বছর আফ্রিকায় এক হাজারেরও বেশি গণ্ডার এবং এক হাজারেরও বেশি হাতি হত্যা করে চোরা শিকারিরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এক কেনিয়ায়ই মারা পড়ে ৩৬০টির বেশি হাতি। দক্ষিণ আফ্রিকায় মারা পড়েছে রেকর্ড ৬৬৮টি গণ্ডার; যা ২০১১ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।