মঙ্গলবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » দ্বিগুণ ট্রান্সফার গতি নিয়ে আসছে ইউএসবি ৩.০
দ্বিগুণ ট্রান্সফার গতি নিয়ে আসছে ইউএসবি ৩.০
বর্তমানের দ্বিগুণ ট্রান্সফার গতি নিয়ে ২০১৪ সালে নতুন করে আসছে ইউএসবি ৩.০ পদ্ধতি। অবশ্য এখনো এ পদ্ধতি-সমর্থিত যন্ত্র বাজারে না এলেও এ বছরের মাঝামাঝি এটি নিয়ে কাজ শুরু করবে কোম্পানিগুলো। খবর সি-নেটের।
ইউএসবি ৩.০ সমর্থক গ্রুপ জানায়, ২০১৫ সাল নাগাদ তথ্য স্থানান্তরের মূল মানদণ্ডে পরিণত হবে এ পদ্ধতি। লাস ভেগাসে চলমান সিইএস মেলা ২০১৩তেই এ পদ্ধতির নিয়মকানুন জানানো হবে।
মজার বিষয় হচ্ছে, ইউএসবি ৩.০ সমর্থিত যন্ত্রগুলো শুধু দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তরেই সক্ষম হবে না; যেসব যন্ত্র ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ গ্রহণ করে যেমন স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট, এদেরও চার্জ গ্রহণের ক্ষমতাও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। তবে ইউএসবি ৩.০-এর সুবিধা নিতে এসব যন্ত্রে নতুন হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে। নতুন ইন্টারফেসটির জন্য নতুন ধরনের তারের প্রয়োজন পড়বে না।
ইউএসবি ৩.০ শূন্য গ্রুপ জানায়, ‘বর্তমান সুপারস্পিড ইউএসবি কেবলগুলো ১০ গিগাবাইট তথ্য স্থানান্তরের জন্য অনুমোদিত নয়। তবে এসব কেবল অনায়াসেই ১০ গিগাবাইট গতিতে তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম।’
এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য তথ্য ধারণ যন্ত্রগুলো এ বর্ধিত তথ্য স্থানান্তরের গতির সুবিধা নিতে পারবে। বর্তমান ইউএসবি পদ্ধতিতে এগুলো খুব একটা দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে না। তাই ইউএসবি গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সলিড স্টেট ড্রাইভগুলোর কর্মক্ষমতাও বেড়ে যাবে।
দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর সম্ভব হলে সফটওয়্যার বিতরণের কাজও আরো সহজ হবে। ২০১১ সালে ইউএসবি ড্রাইভভিত্তিক ওএসএক্স লায়ন অপারেটিং সিস্টেম বাজারজাত শুরু করে অ্যাপল। নতুন মানদণ্ডে এ ধরনের সফটওয়্যারের ইনস্টলেশনের গতি বেড়ে যাবে জ্যামিতিক হারে।
ইউএসবি মানদণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণ হচ্ছে ইউএসবি ৩.০। ২০০৮ সালে প্রথম এ পদ্ধতি চালু হয়। এ পদ্ধতিতে সেকেন্ডে পাঁচ গিগাবাইট তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। কিন্তু ইউএসবি ৩.০ নতুন সংস্করণে এ গতি বেড়ে দাঁড়াবে ১০ গিগাবাইটে। ব্যবহারের দিক দিয়ে ইউএসবি ২.০-এর সঙ্গে ইউএসবি ৩.০-এর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। অ্যান্ডপয়েন্ট এবং চার ধরনের ট্রান্সফারের কৌশল এ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে প্রটোকল এবং ইলেকট্রিক্যাল ইন্টারফেস একটু ভিন্ন। ইউএসবি ৩.০-এর তথ্য স্থানান্তরের কাজটি হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ফিজিক্যাল চ্যানেলে।
এ কারণে নতুন পদ্ধতিটি আরো কয়েকটি পদ্ধতিতে উন্নয়ন নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে বড় লাভ হয়ে তথ্য স্থানান্তরের গতিতে। ইউএসবি ৩.০-এর এত যোগ হয়েছে সুপারস্পিড কৌশল। সে সঙ্গে এ পদ্ধতিতে ব্যান্ডউইডথও বেড়ে গেছে অনেকখানি। একমুখী যোগাযোগের বদলে ইউএসবি ৩.০-তে ব্যবহার হয় দ্বিমুখী যোগাযোগ। একটি তথ্য গ্রহণে এবং অন্যটি প্রেরণে।
কিবোর্ড, মাউস, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, মিডিয়া প্লেয়ার, ডিস্ক ড্রাইভের মতো যন্ত্রগুলোর তথ্য আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে একক মানের আওতায় আনার পদক্ষেপ হিসেবে উন্নয়ন ঘটে ইউএসবি পদ্ধতির। এখন ইউএসবি ছাড়া কম্পিউটারের কথা চিন্তাই করা যায় না। এমনকি গেম কনসোল ও কিছু কিছু ট্যাবলেটেও এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়। - এসবিবি