বৃহস্পতিবার ● ৩ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » অনলাইনেও বখাটেদের হয়রানির শিকার ভারতীয় নারীরা
অনলাইনেও বখাটেদের হয়রানির শিকার ভারতীয় নারীরা
গণধর্ষণের শিকার দিল্লির সেই মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছে দেশটিতে। এর সঙ্গে আরও একটি সমস্যায় রয়েছে সেখানকার নারীরা। অনলাইনেও অনেকে বখাটের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনলাইনে নারীদের প্রতারিত করার মতো কিছু পেলে সেটি ব্যবহার করে নারীদের মানসিক নিপীড়ন করছে বখাটেরা। বেশির ভাগ সময় সম্মান হারানোর ভয়ে এসব নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভারতের পুলিশ কমিশনার সতীশ শর্মা জানান, ‘আমরা নারীদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। অনলাইনে হয়রানি করে এ রকম ১০টি মামলা আমরা গত বছর নথিবদ্ধ করেছি। এসব সমস্যার শিকার বেশির ভাগই তরুণী এবং তারা অনলাইনে অনেক ক্ষেত্রেই অপরিচিত ব্যক্তি দ্বারা হয়রানির শিকার হন। আবার অনেকের সাবেক প্রেমিকও ঝামেলা করে।’
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে এভাবে অনৈতিক নজরদারি একটি ভয়াবহ সমস্যা, কিন্তু বেশির ভাগ তরুণীর মা-বাবাই এ বিষয়ে পুলিশের কাছে আসতে চান না। তারা ভাবেন, এতে তাদের সুনাম নষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন, এভাবে অন্য কারও ওপর অনলাইনে নজরদারি করা একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত এবং এর বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
অনলাইন নজরদারির অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাবেক প্রেমিকরা তাদের সাবেক প্রেমিকাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। অনলাইনে তাদের আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে। অভিযুক্তরা তাদের শিকারকে ক্রমাগত বিভিন্ন মেসেজ পাঠিয়ে বিরক্ত করতে থাকে।
শর্মা বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় দুরবস্থার শিকার তরুণীর মা-বাবা কোনো মামলা না করে কেবল পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মীমাংসা করতে চান। সে ক্ষেত্রে যারা এ রকম ঝামেলা করে, তাদের আমরা ডেকে পাঠাই। ভবিষ্যতে ওই মেয়েকে হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমরা সাবধান করে দেই। ওই ছেলের কাছে মেয়েটির কোনো ভিডিও ও ছবি থাকলে তা মুছে ফেলতে আমরা বাধ্য করি। এ ছাড়া দুরবস্থার শিকার নারীকে আমরা সাহস জোগাই।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সমস্যার শিকার তরুণীদের আমরা সর্বতোভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আমরা চাই এ ধরনের কোনো সমস্যার শিকার হওয়া নারী পুলিশের কাছে এসে অভিযোগপত্র জমা দিক। তারা যদি সরাসরি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে, তাহলে পদস্থ পুলিশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা জানাক।’ - এসবিবি