শনিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ২০১৬ সালেই শীর্ষে পৌঁছবে ই-বিজ্ঞাপন!
২০১৬ সালেই শীর্ষে পৌঁছবে ই-বিজ্ঞাপন!
।। সাব্বিন হাসান ।। ভবিষ্যৎ বিশ্বের পুরো কার্যক্রমই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক। এ সত্যটা ক্রমেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। কারণ বিজ্ঞাপনের বাজারে এখন ডিজিটাল অ্যাডের দারুণ দাপট। ২০১৬ সালেই সংবাদপত্র এবং রেডিও বিজ্ঞাপনকে ছাড়িয়ে যাবে স্মার্ট অ্যাড। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।শুধু ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গুগলভিত্তিক মোবাইল অ্যাড ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সঙ্গে আছে ফেসবুকের ব্যাপক ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী প্রভাব। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটার এ তথ্য দিয়েছে।
২০১২ সালের পুরোটা সময়জুড়েই স্মার্টফোন আর ট্যাবলেট প্রযুক্তি বাজার অস্থির করে রেখেছে। ফলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের চাহিদাও বাড়ছে সমতালে। ২০১২ সালে ই-বিজ্ঞাপনের বাজারে প্রবৃদ্ধি এসেছে গত বছরের তুলনায় ১৮০ ভাগ। গত সেপ্টেম্বরের ২৬১ কোটি ডলারের নিশ্চিত বাজারের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্যচিত্র সুনিশ্চিত হয়েছে।
ইন্টারনেট বিশ্বের নিয়ন্ত্রক গুগল ভবিষ্যতের ই-মার্কেট নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিজের উপস্থিতি সরব আর সুনিশ্চিত করেছে। ২০১৩ সালে শুধু গুগলই মোবাইলভিত্তিক বিজ্ঞাপনী রাজস্বে ৮৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে ৩৯৮ কোটি ডলার আয় করবে।
এদিকে ফেসবুকও মোবাইল বিজ্ঞাপনে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক রাজস্ব আয়ের তালিকায় শীর্ষে আছে। ২০১২ সালে ফেসবুক মোবাইল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩৪ কোটি ডলার আয় করেছে। ২০১৩ সালে এ আয় ৮৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ই-মার্কেটার সূত্র এমন আভাস দিয়েছে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিনিয়োগ সংস্থা ছাড়াও অন্য সব বিজ্ঞাপনের বাজার থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংখ্যা পাওয়া গেছে।
এরই মধ্যে এ বাজারের ভবিষ্যৎ বুঝে ফেসবুক সামাজিক মাধ্যমে মোবাইল বিজ্ঞাপনের চাহিদা তৈরি করেছে। এ মুহূর্তে যেকোনো ব্যবসা প্রসার আর প্রচারে ফেসবুকভিত্তিক মোবাইল অ্যাডের বিকল্প নেই। আর এতে বাজারের আর্থিক রাজস্ব আর বিনিয়োগ দুটোই বাড়ছে।
অনলাইনকেন্দ্রিক মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস প্যানডোরা মিডিয়া, মাইক্রোব্লগ টুইটার এবং আইফোন মেকার অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল অ্যাড ব্যবসায় রাজস্ব আয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
এরই মধ্যে টুইটারও মোবাইল বিজ্ঞাপনে শক্তিশালী অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালে টুইটার মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে ১৩ কোটি ডলার আয় করে। কিন্তু এ আয় ২০১৩ সালে ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
ব্যক্তিগত কমপিউটারের তুলনায় (পিসি) স্মার্টফোন আর ট্যাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনলাইন অ্যাপলিকেশন যেমন ভিডিও গেম এবং মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের মতো সাইটগুলোর ব্যাপক বাজার চাহিদা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ মুহূর্তে ৫০ লাখ ভোক্তা সক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোনে ফেসবুক ব্যবহার করছে। গত সেপ্টেম্বরের প্রকাশিত তথ্য থেকে এমন আভাসই সুস্পষ্ট হয়েছে।
২০১২ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞাপনী বাজারের হিসাবে মোবাইলভিত্তিক বিজ্ঞাপনের বাজার শতকরা ২.৪ ভাগ। বিপরীতে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণে আছে শতকরা ৩৮.৯ ভাগ বাজার।
কিন্তু দ্রুত প্রবৃদ্ধির হিসাবে ২০১৬ সালের মধ্যেই মোবাইল বিজ্ঞাপন সব ধরনের বিজ্ঞাপনী মাধ্যমকে পেছনে ফেলে শীর্ষে চলে আসবে। কয়েকটি গবেষণা সূত্র আর ই-মার্কেটার এমনই তথ্য দিয়েছে। বিশেষজ্ঞেরাও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।