শনিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ার দীক্ষা
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ার দীক্ষা
বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে নতুন বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যের নামে দুর্নাম রটানো কিংবা ভয় দেখানোর মতো মানসিকতা পরিহারের বিষয়টি। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সমারসেটের এক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। খবর গার্ডিয়ানের।
এ প্রশিক্ষণকে দেখা হচ্ছে প্রযুক্তি গ্রহণ এবং অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবারবুলিয়িংয়ের বিষয়ে শিক্ষাদানের অংশ হিসেবে। সমারসেটের টনটনের এক বেসরকারি বিদ্যালয়ে টুইটার, ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্নাম করার মানসিকতা পরিহার করার বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের টোরি দলের কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একদল টুইটার ব্যবহারকারী অভিযোগ করে, উত্তর ওয়েলসের শিশুসদনে শিশুদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন লর্ড ম্যাকআলপাইন। এর পরপরই এ নেতা ওই টুইটার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
টনটন বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সঠিকভাবে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার শিক্ষা দেয়াটা জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যক্তিগত, সামাজিক, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পাঠ্যসূচির (পিএসএইচই) আওতায় পড়ে। শুধু ১৩-১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, পর্যায়ক্রমে এ শিক্ষাক্রম আরও বয়স্ক শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ক্যারোল ম্যানলি। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার (লর্ড ম্যাকআলপাইনের নামে অভিযোগ) পর আমরা বুঝতে পারলাম, এ ধরনের সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে উঠছে। ছোট শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই এসব ফাঁদে পড়তে পারে। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জিইয়ে রাখতে এর সুস্থ ব্যবহার জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ‘পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এসে নিজেকে ফেসবুক-টুইটার বিশেষজ্ঞ বলতে পারি না আমি। কিন্তু ছোটরা কী পরিমাণ এ সাইটগুলো ব্যবহার করে তা জানি। শিক্ষক হিসেবে এটা জানি, ইদানীং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফেসবুক সাইট চেক করেন শিক্ষকরা।’
গণমাধ্যমে ম্যাকআলপাইনের মামলা দেখে বিদ্যালয়টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, শিক্ষার্থীদের রটনা ও মানহানি বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হবে। সেসঙ্গে এ-সংক্রান্ত মামলা থেকে বাঁচার উপায়ও শেখানো হবে তাদের।
ম্যানলি বলেন, ‘তারকারা কী বলছেন কিংবা টুইট করছেন, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। কিন্তু এ থেকে বোঝা যায়, কীভাবে আপনি ভুলের শিকার হতে পারেন। এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ, যখন আমরা ছোটদের বলতে পারব দেখ! মজা করে কিছু বললেও কীভাবে সেটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন কোনো উপস্থাপন না করতেও তাদের শেখানো হবে।’ - এসবিবি