সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » অপরিবর্তিত থাকছে ইন্টারনেট ব্যাবহারের নিয়ম
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » অপরিবর্তিত থাকছে ইন্টারনেট ব্যাবহারের নিয়ম
৮০১ বার পঠিত
সোমবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অপরিবর্তিত থাকছে ইন্টারনেট ব্যাবহারের নিয়ম

internet.jpeg২০১৫ সালের জানুয়ারির আগে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনের (ডব্লিউসিআইটি) গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) আয়োজিত ওই সম্মেলন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সদস্য দেশ ও সংস্থাগুলো ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি এ আয়োজনে। ফলে বিভিন্ন দেশে বর্তমান নিয়মনীতিতেই ইন্টারনেট ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। সম্মেলনে যে নিয়মনীতি আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলো সদস্যদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। চাইলে সেগুলো আরোপ কিংবা বাতিল করতে পারে সদস্য দেশগুলো।
১৯৮৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ আইন নির্ধারণ করে আইটিইউ। তবে এরপর এ আইনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তখন অবশ্য ইন্টারনেটও এত বহুল প্রচলিত ছিল না। তবে মাঝের বছরগুলোয় ইন্টারনেট যেভাবে প্রসারিত হয়েছে, তাতে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো কাজ যেমন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে, তেমনি একে ব্যবহার করে দুষ্কর্মও কম হয়নি। দুবাই সম্মেলনে একটা ভয় ছিল, শেষ পর্যন্ত হয়তো ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ জাতিসংঘের হাতে চলে যাবে। এমন আশঙ্কা থেকে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ এবং কিছু শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের যেকোনো প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চুক্তিতে উপনীত হতে অস্বীকার করে। এ জন্যই সব সিদ্ধান্ত ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
ইন্টারনেটের স্বাধীনতা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট। রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো গোপনে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য তদবির করে এ সম্মেলনে। আর সেটা আইটিইউর মাধ্যমে। জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের অন্যতম সংস্থা এই আইটিইউ। এ দুটি দেশের মূল উদ্দেশ্য ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত থেকে সরিয়ে দেয়া। ভারত ও আজারবাইজানের মতো দেশগুলোও গোপনে এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানায়। ভারতীয় টেলিকম বিভাগের কিছু সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাপী সম-অধিকারভিত্তিক আইপি অ্যাড্রেস পাওয়ার জন্য সিনোরুশ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানায় ভারত।
কিছু কিছু দেশ অবশ্য ইন্টারনেটের ওপর আইটিইউর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সন্দিহান। তাদের আশঙ্কা এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তাধারা প্রকাশ এবং অনলাইনে সরকারি তথ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি বেঁধে দিতে পারে জাতিসংঘ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশ্বের শীর্ষ ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুগল এরই মধ্যে এ চুক্তি থেকে ইন্টারনেটকে বাদ দেয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমসের মতো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রতিষ্ঠানও এ চুক্তির বিরোধিতা করেছে। অন্য পত্রিকা ফোর্বস চুক্তিটিকে বলছে, ‘ইন্টারনেট নিয়ে শীতল যুদ্ধ’। আবার এর উল্টো দিকও আছে। উইকিলিকসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিনরা। তার পরও বিশ্বের বেশির ভাগ শীর্ষ ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক। দেশটি কখনই চাইবে না এসব প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য খর্ব হোক।
অন্যরা অবশ্য মনে করছে, চুক্তি হলেও ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেশভিত্তিকই রয়ে যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ নিয়ে অর্থনৈতিক রাজনীতিবিষয়ক মার্কিন গবেষক মিল্টন মুলার এবং হার্ভার্ডের আইনবিষয়ক অধ্যাপক জ্যাক গোল্ডস্মিথ মনে করেন, ইন্টারনেট স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা আসলেই অমূলক। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল স্কুলের অধ্যাপক চিন্ময়ী অরুন মনে করেন, চুক্তি অনুযায়ী ইন্টারনেট চালিত হলে তাতে আখেরে লাভ হবে প্রতিবন্ধীদের জন্যও।
সব বিষয় যে ভালো হবে, এমন নয়। ব্যক্তি গোপনীয়তা পুরোপুরি ব্যক্তির ওপরই নির্ভর করবে। কিন্তু তথ্য যাচাইয়ের আইটিইউর প্রস্তাব সত্যিই ব্যক্তি গোপনীয়তায় বিঘ্ন ঘটাবে। নজরদারির অন্যতম এ পদ্ধতির প্রয়োগ অন্তত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চাইবে না।
অবশ্য সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের নজরদারি করবে না আইটিইউ। শুধু যে দেশগুলো চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে, সেগুলোয় আইটিইউর নজরদারি চালু হবে। বেঙ্গালুরুভিত্তিক সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির পলিসি ডিরেক্টর প্রাণেশ প্রকাশ বলেন, এতে কোনো কনটেন্টে প্রবেশাধিকার খর্ব হবে না। আবার এতে ইন্টারনেট ব্যবহারও বাড়বে না। এসব পরিবর্তন হয় সাধারণত জাতীয় স্তরে। খুব উচ্চ মূল্যবোধ না থাকলে আন্তর্জাতিক স্তরে এ ধরনের নিয়মনীতির কোনো মানেই হয় না। - এসবিবি



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি নিয়ে টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশের উদ্যোগ
কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে অপো বাংলাদেশ
মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বিকাশ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪ হাজার শিক্ষার্থী পেল নতুন ল্যাপটপ
এনাবলার অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো মাস্টারকার্ড
জাইকার সহযোগিতায় বি-জেট ও বি-মিট প্রোগ্রামের সমাপনী প্রতিবেদন প্রকাশ
দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’
এআই অলিম্পিয়াডের বৈজ্ঞানিক কমিটির সদস্য হলেন বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন
সিআইপি সম্মাননা পেলেন উল্কাসেমির সিইও মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান
রিয়েলমি সি৭৫ পানির নিচে সচল থাকবে ১০ দিন