মঙ্গলবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ভিওআইপির মাধ্যমে অবৈধ কল আসার হার কমেছে
ভিওআইপির মাধ্যমে অবৈধ কল আসার হার কমেছে
বৈধ পথে গড়ে ৪ কোটি মিনিটের বেশি আন্তর্জাতিক কল আসছে
দেশে গত এক মাসের ব্যবধানে বৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক ফোনকল বেড়েছে দৈনিক ১ কোটি ১৩ লাখ মিনিট। অবৈধ পথে আসা কল
নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় এ ফোনকল বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে প্রতিদিন বৈধ পথে গড়ে ৪ কোটি মিনিটের বেশি আন্তর্জাতিক কল আসছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে এর পরিমাণ ছিল দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৮৭ লাখ মিনিট। অর্থাত্ এক মাসের ব্যবধানে দেশে আসা আন্তর্জাতিক ফোনকল বেড়েছে গড়ে ১ কোটি ১৩ লাখ মিনিট।
জানা গেছে, অবৈধ পথে বিদেশ থেকে আসা ফোনকল বন্ধ করতে সিম বক্স ডিটেকশনে ১০টি লজিক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ কল আসার হার কমেছে। একই সঙ্গে ভিওআইপি-সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কারণেও বৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক কল বেড়েছে।
সম্প্রতি ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ছয়টি নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স পাওয়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কল টার্মিনেশনের অভিযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। বর্তমানে প্রতিটি আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশনের নির্ধারিত হার ৩ দশমিক ৪৫ সেন্ট। তবে কয়েকটি আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান এর চেয়ে কম মূল্যে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে- টেলেক্স লিমিটেড, অ্যাপল নেটওয়ার্কস লিমিটেড, রাতুল টেলিকম ও মসফাইভ টেল লিমিটেড তিন সেন্টের কম মূল্যে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশনের সঙ্গে যুক্ত। এটি আইজিডব্লিউ লাইসেন্সের সংশ্লিষ্ট ধারার লঙ্ঘন বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবৈধ ভিওআইপি কল বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও তিন সেন্টের কম মূল্যে কল টার্মিনেশনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৈধ পথে আসা আন্তর্জাতিক কল বেড়েছে। এ ছাড়া অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম শনাক্ত করতে একটি কমিটিও কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে আইজিডব্লিউ লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮। এর মধ্যে আগে লাইসেন্স পাওয়া চার প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। নতুন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যক্রম শুরুর পর বর্তমানে বন্ধ রয়েছে রাতুল টেলিকম ও ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স নামের দুই প্রতিষ্ঠান। অবৈধ কল টার্মিনেশন বন্ধে নেয়া পদক্ষেপের প্রভাবে প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।