বুধবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » তথ্যপ্রযুক্তি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করে -ডা.দীপু মনি
তথ্যপ্রযুক্তি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করে -ডা.দীপু মনি
দেশকে এগিয়ে নিতে সবার আন্তরিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর এ কাজ করা যায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি ডিজিটাল বৈষম্য দূর করে। গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২’ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ধরনটাই এমন যে এটি ধনী-গরিব বা শহর-গ্রাম ভিত্তি করে নয় বরং নিজের গতিতে এগিয়ে চলে। এর মাধ্যমে দূর হয় ডিজিটাল বৈষম্য। যে কেউ সহজেই এর মাধ্যমে বিশ্বপ্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আইসিটি-সচিব নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২ : গোয়িং ফরওয়ার্ড ফ্রম হিয়ার’ বিষয়ে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির লেগাটাম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইকবাল জেড কাদির। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি সবার হাতের নাগালে এসেছে। এখন প্রয়োজন এর সুবিধাগুলো ছড়িয়ে দেয়া। এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আয়োজনগুলো ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে করার পরামর্শ দেন তারা। যাতে করে সাধারণ মানুষও এর সুবিধাগুলো পেতে পারে।
ই-সেবার জন্য পুরস্কার : সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘ই-সার্ভিস ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মূলত সরকারের ই-সেবা বাস্তবায়নে বিশেষ সাফল্য অর্জন করায় এই পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার পেয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এনএম জিয়াউল আলম, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মজিদ, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা শাহানা বারী, অতিরিক্ত উপকমিশনারদের (আইসিটি) মধ্যে মৌলভীবাজারের মো. রায়হান কাউসার, দিনাজপুরের মো. মিজানুর রহমান, নাটোরের মো. আবু আবদুল্লাহ, সহকারী কমিশনারদের (আইসিটি) মধ্যে সাতক্ষীরার পিন্টু ব্যাপারী, সিলেটের মো. সালাহউদ্দিন, ঢাকার রহিমা খাতুন, উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুরের মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের এসএম খাদেমুল ইসলাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আবদুল রশীদ মজুমদার, কুমিল্লার দেবীদ্বারের রাজি মো. ফখরুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে কুমিল্লার হোমনার মো. হেলাল হোসেন, ভোলা সদরের মো. অলিউর রহমান, শরীয়তপুর সদরের শামীমা ফেরদৌস, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের মধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুরের এ কে এম সিরাজ উদ্দিন, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগরের আবদুল লতিফ তালুকদার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতির গাজী মাসুদুল হক, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবন্সি ইউপির মো. ইউসুফ আলী, চুয়াডাঙ্গা সদরের টিটুদাহ ইউপির মো. ফয়েজুর রহমান, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ ইউপির অজিত কুমার রায়, ইউআইএসসির নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার গাগরা ইউআইএসসির মেনোকা চাকমা, পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার প্রত্যাশী ইউআইএসসির কাবেরি রানী হালদার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউআইএসসির রাহাত জাহান, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউআইএসসির জোসনা খাতুন, নেত্রকোনা সদরের লক্ষ্মীগঞ্জ ইউআইএসসির আকলিমা আখতার, ইউআইএসসির পুরুষ উদ্যোক্তাদের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউআইএসসির মইনুল হক সরকার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাথারিয়া ইউআইএসসির মনোয়ার হোসেন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউআইএসসির আজাদুল করিম, পাবনার সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউআইএসসির শরীফুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার হালুয়াঘাট ইউআইএসসির বরুণ নাফাক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহকারী প্রোগ্রামার মানিকগঞ্জ জেলার বেসিক আইসিটি প্রকল্পের মো. ওয়াদুদুর রহমান, চট্টগ্রামের শারমিন সায়মা ও যশোরের মোতাহার হোসেন।