রবিবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » শেষ হলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২
শেষ হলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২
নানা আয়োজন আর প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১২। ‘সমৃদ্ধির জন্য জ্ঞান’ স্লোগানে শুরু হওয়ার হওয়া ৩ দিনের এ আয়োজনে ছিলো সম্মেলন, কর্মশালা আর প্রদর্শনী। পাশাপাশি ছিলো উদ্যোক্তা, আউটসোর্সিংসহ নানা বিষয়ে আলোচনা। গতকাল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেও শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশুদের চিলড্রেন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড শীর্ষক আয়োজন। এতে বক্তা ছিলেন নবীন ওয়েব ডেভলপার স্যার জন উইলসন স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফারদীম মুনির, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আই জিনিয়াস রিফাত হাসান, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের পদকজয়ী বৃষ্টি শিকদার, ওয়াইএমসিএ স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আরিফা হোসেন ও বাংলা উইকিপিডিয়ার অবদানকারী ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাফ্যায়ার হোসেন খান। এতে বক্তাদের পাশাপাশি শ্রোতারাও ছিলো শিশু। বক্তারা নিজেরা কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেন এবং এর মাধ্যমে কি কি করে সেগুলো তুলে ধরেন। এ আয়োজনে নিজেদের আলাদা প্রেজেন্টেশন নিজেরা তৈরী করে দেখায় তারা। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘টেক ব্যাক দ্য টেক: এমপাওয়ারিং ওমেন থ্রো আইসিটি’ শীর্ষক আয়োজন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স বিভাগের ডিন অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটির সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক জন মুলমনসহ অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে নারীরা নিজেদের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তা পেতে পারেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিকেলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আইটি জিনিয়াসদের জন্য ঋণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল । তিনি আইটি উদ্যোক্তাদের জন্য সুদের হার এক অংকের ঘরে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যেক্তাদের (এসএমই) সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে এমটিবি। ব্যাংকটির নতুন এ পণ্যের নাম দেওয়া হয়েছে এমটিবি আইটি জিনিয়াস। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ডাটা অ্যান্ট্রি প্রসেসিং ও এক্সপার্ট নানা ব্যবসা উদ্যোগে এ ঋণ পাওয়া যাবে। সন্ধ্যায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সম্মেলনের পাশাপাশি ছিলো রোবট প্রদর্শনী। রোবো এক্সপোজিশন জোন নামের এ আয়োজনে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি প্রকল্প অংশ নেয়। ছিলো টেলিটকের থ্রিজি এক্সপিরিয়েন্স জোন। যেখানে ভিডিও কল, টিভি দেখাসহ থ্রিজির মাধ্যমে করা নানা বিষয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা নিতে পেরেছেন আগত দর্শকরা। এছাড়া এ আয়োজনে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার বক্তা হিসাবে দেশী বিদেশী প্রায় ১৩০ জন ব্যাক্তি অংশ নিয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৬০টি বেসরকারি, ২৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আন্তর্জাতিক ষ্টল মেলা অংশগ্রহন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বিভাগ সমূহ নিজেদের নানা বিষয় প্রদর্শণ করছে। ছিলো মুক্ত সফটওয়্যার প্রদর্শনসহ নানা বিষয়। আয়োজনের পার্টনার হিসেবে ছিলো সিটিও ফোরাম, ক্লাউড ক্যাম্প, এপিসি ও বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। এছাড়া সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।