রবিবার ● ১৮ নভেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল ইএটিএল অ্যাপস্টোর
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল ইএটিএল অ্যাপস্টোর
বাংলাদেশে প্রথমবারের মত যাত্রা শুরু করেছে ইথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) অ্যাপস্টোর।শনিবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এই অ্যাপস্টোরের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকারের গৃহীত নীতি ও পদক্ষেপের সঙ্গে জনগণকে সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল এই দুটি প্রযুক্তি-পণ্যের সর্বোত্তম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইটিএল অ্যাপস স্টোরের উদ্বোধন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। যদি প্রতিষ্ঠানটি আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কম্পিটিশন সফলভাবে পরিচালনা করতে পারে তবে বিশ্বব্যাপী অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে বাংলাদেশ।”
প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সরকারের প্রচেষ্টায় তথ্য ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ইএটিএল অ্যাপস স্টোরের উদ্বোধন এক নতুন পদক্ষেপ হিসেবে যুক্ত হলো।”
“তরুণ বয়সেই মানুষের মাঝে সৃষ্টিশীল প্রেরণার স্ফূরণ ঘটে। যে সমাজ তা ধারণ ও লালন করতে পারে সেই সমাজ ও দেশ স্বনির্ভরতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। ইএটিএল অ্যাপস স্টোরের ব্যবহার ও অ্যাপস কম্পিটিশনে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের সম্পৃক্ত করে সামনে এগিয়ে যাবে” এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহা-পরিচালক নীলুফার আহমেদ এবং মহা-পরিচালক ও এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।
ইটিএএল’র প্রধান নির্বাহী ড. নিজাম উদ্দীন আহমেদ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারকারীদের পরিসংখ্যান এবং ইএটিএল অ্যাপসের কাজের পরিধি ও বিস্তৃতির চিত্র তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইএটিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মবিন খান বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে আমরা তরুণ প্রজন্মের সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাতে চাই। প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক একটি অগ্রসর সমাজ গঠনে তরুণ প্রজন্মের সৃষ্টিশীলতা ও লড়াকু মনোভাবকে পূঁজি করে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বেছে নিয়েছি ইন্টারনেট ও মোবাইল নামের জনপ্রিয় দুটি প্রযুক্তিপণ্যকে। এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ইটিএএল অ্যাপস টুলের উদ্বোধন পরবর্তী ছয় মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন ও প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী চলবে এবং অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে শীর্ষ দশ প্রতিভাবানকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ইএটিএলে চাকুরীর সুযোগ দেয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে, ইএটিএল অ্যাপস টুল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং এ অগ্রযাত্রার পথে দেশকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।