শনিবার ● ১০ নভেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ইন্টারনেট ফিল্টারিং আইন বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া
ইন্টারনেট ফিল্টারিং আইন বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া
ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফিল্টার করার পাঁচ বছরের পুরনো আইন বাদ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আইনটির মাধ্যমে দেশটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক ও আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করতে পারত। এ আইনের বদলে দেশটি এখন থেকে ইন্টারপোলের তৈরি করা আপত্তিকর ওয়েবসাইটের তালিকা বন্ধ করে দেবে। খবর এপির।
গতকাল শুক্রবার দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী স্টিফেন কনরয় এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশের শীর্ষ তিন টেলিকম অপারেটর তেলেস্ত্রা, অপটুস ও প্রিমাস ইন্টারপোলের এ তালিকা অনুসরণ করছে। এ তালিকা পর্যালোচনার পর আমাদের মনে হয়েছে, আপত্তিকর সাইট বন্ধ করতে এটিই যথেষ্ট।’
ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ ও ফিল্টারিংয়ের এ আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা হচ্ছিল। সমালোচকদের অনেকেই বলেছিলেন, এ আইন আরোপ করায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকল না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আইনটি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এ আইন গণতন্ত্রের বিকাশে হুমকিস্বরূপ বলেও জানিয়েছিল তারা।
দেশটির বিরোধী দলও এ আইনের বিরোধিতা করে আসছিল। তাদের ভাষায়, এ আইনের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া এর ফলে ক্ষতিকারক নয় এমন অনেক সাইটও নিষেধাজ্ঞার খড়েগ পড়ছে এবং বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে।
নতুন এ তালিকার ফলে অবশ্য ওয়েবসাইট ফিল্টারিংয়ের বিষয়টি অনেক কমে আসবে। সরকারের আগের আইন অনুযায়ী যেকোনো অপরাধ, মাদক, চোরাচালান, সন্ত্রাসী হামলা ইত্যাদি সাইটগুলো নিষিদ্ধের ক্ষমতা ছিল সরকারের। নতুন তালিকা গ্রহণের ফলে বিষয়টি অনেক সীমিত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে ইন্টারনেট সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কাজ করা জিওর্দি গাই।। তিনি বলেন, সরকারের আগের নেয়া যেকোনো আইনের চেয়ে এটি ভালো।